ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুরের শহরতলীর কানাইপুরের দিগনগর তেতুলতলা এলাকায় বাস পিক-আপ মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের তেঁতুলতলা দিকনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ত্রাণের টিন নিতে নিহতরা আলফাডাঙ্গা ও বোয়ালমারী থেকে তারা পিকআপে করে ফরিদপুর সদরে আসছিলেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মাগুরাগামী ইউনিক পরিবহনের সাথে ঢাকা গামী একটি যাত্রীবাহী পিক-আপের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে মহিলাসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে সাতজন নারী, দুইজন শিশু ও পাঁচজন পুরুষ।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের উদ্ধারকারী দল পৌছে হতাহতদের উদ্ধার করে।
নিহতরা হলেন, বোয়ালমারী শেখর ইউনিয়নের ছত্রকান্দা গ্রাম রাকিব হোসেন মিলন ( ৪২) ও তার স্ত্রী সামিমা ইসলাম সুমি (২৫), তাদের বড় ছেলে আলভী রোহান (৭) এবং ছোট ছেলে আলফাডাঙ্গা মডেল স্কুলের শিক্ষার্থী আবু সিনান (৪) এবং প্রতিবেশী মৃত আব্দুল ওহাবের স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৭০) এবং পিকআপ চালক আলফাডাঙ্গা পৌরসভার কুসুমদি গ্রামের নজরুল মোল্ল্যা (৩৫), আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের বেজিডাঙ্গা গ্রামের জানাহারা বেগম (৫০), তার ভাতিজি প্রবাসীর স্ত্রী সোনিয়া বেগম (৩০), সোনিয়ার ১১ মাস বয়সী শিশু সন্তান নুরানী, সদর ইউনিয়নের চরবাকাইল গ্রামের তবি খান (৫৫), হিদাডাঙ্গা গ্রামের হিদাডাঙ্গা গ্রামের শুকুরন বেগম (৯০), তার মেয়ে মনিরা বেগম সূর্য (৫৫), প্রতিবেশী কহিনুর বেগম (৬০)। এছাড়াও ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যান মোঃ ইব্রাহীম (৩২)।
নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের চারজন রয়েছেন। এরা হলেন, রাকিবুল ইসলাম মিলন (৪০), তার স্ত্রী সুমি (৩০) ও দুই ছেলে আবু রায়হান (৬) আবু সিনান রুহান (৫)।
এছাড়া নিহত রাকিবুলের মা খুরিয়া বেগম (৭০) দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহত রাকিবুলের ফুফাতো ভাই মকিবুল ইসলাম জানান, ত্রাণের টিন নিতে আলফাডাঙ্গা ও বোয়ালমারী থেকে তারা পিকআপে করে ফরিদপুর সদরে আসছিলেন।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে নিহতদের স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়ে উঠে।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম জানান, পিকআপটি নির্দিষ্ট লেন ছেড়ে বিপরীত লেনে চলে আসার কারণে এ সংঘর্ষ হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।
জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, নিহতদের দাফনের জন্য তাৎক্ষণিক সহায়তা হিসেবে ২০ হাজার টাকা দেয়া হবে। এছাড়া নিহত প্রত্যেককে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা এবং গুরুতর আহতদের ৩ লাখ টাকা দেয়া হবে।