প্রকাশ: শনিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৬:০০ অপরাহ্ন

ভাঙন ঠেকাতে দলের ‘কৌশল’ সফল হয়েছে বলে মনে করছেন বিএনপি নেতারা। বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হলে রাতে সিনিয়র নেতাদের ভার্চুয়াল বৈঠকে এমন পর্যবেক্ষণ উঠে আসে।
সরকার পদত্যাগের একদফা দাবি আদায়ে হরতাল ও অবরোধের পাশাপাশি ভিন্ন কর্মসূচিও পালন শুরু করেছে বিএনপি। বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে ১০ই ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ করার চিন্তা করছে দলটি।
গুম-খুন, সাজা, কারাবন্দি ও নির্যাতিত পরিবারের সদস্যদেরও এ কর্মসূচিতে রাখার বিষয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে। এ নিয়ে চলতি সপ্তাহে সমমনা দল ও জোট নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে।
এছাড়া গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত এবং অনিবন্ধিত মোট ৬০টি দল দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জন করছে বলে জানিয়েছে বিএনপি। এসব দলকে বিএনপির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়ে চলমান আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন দায়িত্বশীল নেতারা।
দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম 'গাজীপুর মডেলে সংসদ নির্বাচন'। পত্রিকাটি বলছে, চলতি বছরের মাঝামাঝি অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আদলেই জাতীয় নির্বাচনের নকশা সাজিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির নেতৃত্বাধীন সরকারের এ মেয়াদে নির্বাচন নিয়ে নানা বিতর্কের মধ্যেও গাজীপুর নির্বাচন উৎসবমুখর হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতিও সন্তোষজনক।
বিএনপি এ সমমনা দলগুলো অংশ না নিলেও গাজীপুরের নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে এক ধরনের স্বীকৃতি পেয়েছিল। এ কারণেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর ডিজাইন অনুসরণ করতে চায় আওয়ামী লীগ।
দলটির নেতারাও বলছেন, গাজীপুর মডেলে নির্বাচন করার মূল লক্ষ্য তিনটি। প্রথমত ভোটের মাঠে উৎসব, দ্বিতীয়ত কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ঘটানো এবং তৃতীয়ত নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করা।
তারা মনে করছেন, তাদের এ লক্ষ্য পূরণ করবে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ার কৌশল।
কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের অন্যতম বড় দল বিএনপিকে বাইরে রেখে আর যাই হোক অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না।
তাছাড়া গাজীপুরের নির্বাচন ছিল স্থানীয় সরকারের একটি প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন। সেটার সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের মিল খোঁজা অবান্তর।