প্রকাশ: রোববার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৪:১৪ অপরাহ্ন
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতরা এখনো উপদেষ্টাদের সঙ্গে সচিবালয়ে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। আজ রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা আব্বাস বলেন, সচিবালয়ে আগুন দেয়ার সঙ্গে যারা জড়িত, তারা এখনো উপদেষ্টার সঙ্গে সচিবালয়ে কাজ করছে। হাসিনা চলে গেলেও, বাকশালীরা এখনো সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে রয়ে গেছে। বাকশালীদের রেখে সংস্কার কীভাবে সম্ভব?
আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা এখনো রয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আরেকজন বাকশালী সচিবকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বাকশালীদের নিয়ে কি সংস্কার করবেন? আওয়ামী লীগকে আবারও ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হচ্ছে কি?
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ’৭২ এর সংবিধান লেখা হয়েছে লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে। সংবিধানকে যারা অপব্যবহার করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। শহিদের রক্তের ওপর লেখা সংবিধান কবর দেয়ার কথা বললে কষ্ট লাগে। ওই সংবিধানে খারাপ কিছু থাকলে তা বাতিলযোগ্য। এই সংবিধান সংশোধন করা যাবে, অস্বীকারের সুযোগ নেই।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে ভুল না বোঝার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জাতি তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। ‘সংবিধানের কবর রচনা’র মতো কথা ফ্যাসিবাদী। কারও কোনো মতামত না নিয়ে এমন কথা ঠিক নয়। তাই জাতি ও দেশকে বিভেদের দিকে ঠেলে না দেয়ার আহ্বান জানাই। আমরা ভালো কাজ করলেও দেশ ও জাতিকে বিভক্ত করতে পারি না।
মির্জা আব্বাস বলেন, এককভাবে আন্দোলনকে নিজেদের করে নিতে চায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন নিভুনিভু, তখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা রাজপথে নেমেছে। এককভাবে কেউ কিছু দাবি করলে জনমনে বিভেদ সৃষ্টি হবে। ২০২৪ এর আন্দোলনকে কেউ ব্র্যান্ডিং করবেন না। শেখ হাসিনা অহংকার করেছিল, তার পতন হয়েছে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দলের নেতাকর্মী নয়, দেশের মানুষ মনে করে নির্বাচন হলে ক্ষমতায় আসবে বিএনপি। বিএনপি কখনো ক্ষমতায় যাওয়ার কথা বলে না, তারা শুধু নির্বাচন ও ভোটাধিকার চায়। সংস্কার করুন, কিন্তু যথাসময়ে দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী নির্বাচন দিন।