প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪, ৩:১১ অপরাহ্ন
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) নিষিদ্ধের দাবিতে একটি রিট শুনানিকালে হাইকোর্টের এক বিচারক বলেছেন, ‘রাষ্ট্র সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখছে, তাতে আমরা সন্তুষ্ট। এটা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তারা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে, আদালতের আর কিছু করার নাই।’
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ থেকে এ মন্তব্য আসে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনিরুজ্জামান গতকাল বুধবার এই বেঞ্চে ইসকন নিষিদ্ধ চেয়ে আবেদনটি করেন। চট্টগ্রাম ও রংপুরে জরুরি অবস্থা জারির আর্জিও তিনি জানান। আবেদনের শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষের মতামত জানতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে ডেকে পাঠায় আদালত। পরে এক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
শুনানির শুরুতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদ উদ্দিন অ্যাটর্নি জেনারেলের পক্ষে আদালতকে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের তথ্যগুলো তুলে ধরেন।
তিনি আদালতকে জানান, এ ঘটনায় সরকারের অবস্থান ‘কঠোর’। এ পর্যন্ত এ ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে, একটিতে ১৩ জন, একটিতে ১৪ জন এবং আরেকটিতে ৪৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিসিটিভি দেখে আরও ছয় জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। পুলিশ তৎপর আছে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও তথ্য পাওয়া যাবে।
আসাদ উদ্দিন বলেন, কেবল চট্টগ্রাম নয়, অন্যান্য স্থানেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টিকে ‘টপ প্রায়োরিটি’ দিয়ে কাজ করছে
এদিকে আইনজীবী মনির উদ্দিন আবারও ইসকনকে নিষিদ্ধ চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত আদেশ চাইলে আদালত তাকে বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সৌহার্দ্যপূর্ণ। এ বিষয়ে তার দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদ উদ্দিন বলেন, সরকার যেহেতু ব্যবস্থা নিচ্ছে, সেখানে কোর্ট তো হস্তক্ষেপ করবে না। সরকারের নিষ্ক্রিয়তা থাকলে তখন কোর্ট হস্তক্ষেপ করে।