প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২:৫৭ অপরাহ্ন
বিএনপি চেয়ারপারসনের বিদেশ যাত্রার যাবতীয় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের কোনো একদিন যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যেতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, লন্ডনে বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় বিরতি দিয়ে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যাবেন তিনি। ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস ছাড়াও হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন।
এর আগে ২৭ নভেম্বর বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে খালেদা জিয়া আমেরিকান দূতাবাসে যান। সেখানে ভিসার জন্য ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে বিকেল ৩টার কিছু সময় পর বাসায় ফেরেন তিনি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন সঙ্গে ছিলেন। এদিকে একই দিন দুপুরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের শামসউদ্দিন দিদার জানিয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে যথেষ্টা সম্মান দেয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে। বিএনপি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্য এবং তারপরে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা রয়েছে।
বেগম খালেদা জিয়া শরীরের বিভিন্ন জটিলতার মধ্যে লিভার, কিডনি ও হৃদরোগকে সবচেয়ে ঝুঁকির কারণ মনে করছেন তার চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, বেগম জিয়ার লিভারে এখন যন্ত্র বসানো হয়েছে। লিভারের রোগই বেগম জিয়ার স্বাস্থঝুকির বড় কারণ। বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, স্থায়ীভাবে ম্যাডামের লিভার প্রতিস্থাপন করা হয়নি। বর্তমানে তার যে বয়স তাতে স্থায়ীভাব লিভার প্রতিস্থাপন করা সম্ভব কী-না সেটা দেখা প্রয়োজন। যেটি করতে বিদেশ নিতে দেশের বাইরের ডাক্তাররা আমাদেরকে জানাচ্ছেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর কিডনি রোগটিকে আরেকটি ঝুঁকির কারণ মনে করা হচ্ছে।
চিকিৎসকরা বলেছেন, বিভিন্ন সময় কোন কোন ধরনের ওষুধ খাওয়ার পর ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। এটা নিয়ে দু:চিন্তাও কমছে না। ডা. হোসেন বলেন, ম্যাডামের ক্রনিক ডিজিজ অসুখ। জন হপকিংসের চিকিৎসকরা গতকালও আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন কেন সেখানে চিকিৎসা করাতে আমরা যাচ্ছি না। এছাড়া মিসেস জিয়ার হৃদরোগের সমস্যা আগে থেকেই ছিল। হার্টে ব্লকও ছিল আগে থেকে। সে কারণে একটা স্টেনটিংও করা ছিল বলে তার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তার চিকিৎসকরা বলেছেন, হার্টের সাধারণত যে সব অসুখগুলো থাকে তার মধ্যে তিনটিই বেগম খালেদা জিয়ার মধ্যে আছে।
বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. হোসেন বলেন, এখন পেসমেকার লাগানো হয়েছে। এটা কাজ করতেছে। ওনার হার্টে আরও ব্লক আছে। সেগুলোরও চিকিৎসা দরকার।