প্রকাশ: শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:২২ অপরাহ্ন

ক্যারিয়ারে ৫টি মাত্র টেস্ট খেলেছেন। সেখানেও বলার মতো তেমন কিছু নেই। ৫ টেস্টে মাত্র ১৬ উইকেট নিয়েছেন। কিন্তু তবু ক্রিকেটবিশ্ব তাঁকে মনে রাখবে সব সময়। ক্রিকেট খেলাটিতে ফিজিক্যাল ফিটনেসের অগ্রপথিকদের একজন ফ্রাঙ্ক মিসন।
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই পেসার ৮৫ বছর বয়সে মারা গেছেন। ১৯৬০ সালে অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অভিষেক হওয়া মিসন ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলেছেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, ১৯৬১ সালের জুনে।
মিসনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারটা লম্বা না হওয়ার কারণের সঙ্গেও জড়িয়ে আছে ফিজিক্যাল ফিটনেসের বিষয়টি। মূলত গোড়ালির চোটের কারণেই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার দীর্ঘ হয়নি মিসনের।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বেশির ভাগ ম্যাচই তিনি খেলেছেন সাউথ ওয়েলসের হয়ে। ৭১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে মিসনের উইকেট ১৭৭টি। ব্যাট হাতে ফিফটি আছে দুটি। এখানেও তাঁর ক্যারিয়ার খুব বেশি দীর্ঘ ছিল না। ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৪ পর্যন্ত প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছেন মিসন।
কে জানে ফিটনেসের অভাবে ক্যারিয়ার লম্বা করতে না পারার কারণেই কি না, ক্রিকেটে ফিটনেস নিয়ে কাজ শুরু করেন মিসন। ক্যারিয়ারে দারুণ একজন অ্যাথলেট ছিলেন তিনি। রোম অলিম্পিকে অস্ট্রেলিয়াকে রেকর্ড গড়ে সোনা এনে দেওয়া অ্যাথলেট হার্ভ ইলিয়টের কোচ পার্সি চেরুট্টির অধীনে অনুশীলন করতেন মিসন।
মিসনের ফিটনেস নিয়ে চিন্তাভাবনার প্রভাব অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের ওপর পরেও ছিল। ১৯৯৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার পুরুষ ক্রিকেট দলের ফিটনেস পরামর্শক ছিলেন মিসনের ছেলে ডেভিড মিসন।