প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৬ জুন, ২০২৪, ৬:৪২ অপরাহ্ন

নাটোরের নলডাঙ্গায় বারনই নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ দখলমুক্ত করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় দখলদারদের বাঁধার মুখে পড়ে অভিযান স্থগিত করেন প্রশাসন।
আজ বৃহস্পতিবার(৬ জুন) সকালে নলডাঙ্গা উপজেলা ভূমি কমিশনার আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মিরা উপজেলার বাজারে কেন্দ্রীয় মসজিদের পিছনে দখলকৃত জমি উদ্ধারে গেলে বাঁধা সৃষ্টি করে অবৈধ দখলকারীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নলডাঙ্গা উপজেলার বারনই নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পাড় পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহনকৃত জায়গায় দখলদাররা বাড়ি ও দোকান ঘরসহ ৪০ টি স্থাপনা নির্মাণ করে ভোগ-দখল করে আসছিল। স্থানীয় কিছু বাসিন্দার অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার উদ্দ্যোগ নেয় নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ড কতৃপক্ষ। এর আগেও এসব স্থাপনা অপসারণের নোর্টিশ ও মাইকিং করা হয়।
পূর্বে ঘোষণা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকালে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রট নলডাঙ্গা উপজেলা ভূমি কমিশনার আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মিরা নলডাঙ্গা বাজারের কেন্দ্রীয় মসজিদর পিছনে দখলকৃত জমি উদ্ধার গেলে বাধা সৃষ্টি কর দখলকারীরা। এক পর্যায়ে তারা রাস্তায় বসে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে বিভিন্ন প্লাকার্ড ব্যানার নিয়ে মানববন্ধন করেন। এ নিয়ে এলাকাবাসীর সাথে দীর্ঘসময় বাকবিন্ডার পর দুপুরে নলডাঙ্গার পৌরসভার মেয়র মনিরুজ্জামান মনিরের মধ্যস্থতায় আসন্ন কোরবানী ঈদ পর্যন্ত সময় দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করা হয়।
নলডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মনিরুজ্জামান মনির বলেন, আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে জনগনেরর দাবীর মুখে নাটোর উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে মানবিক দিক বিবেচনা করে এ উচ্ছেদ অভিযান আগামী ১ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয়।
নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল আলম চৌধুরি বলেন, নলডাঙ্গা উপজেলার বারনই নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পাড় পানি উনয়ন বোর্ডের অধিগ্রহনকৃত জায়গায় দখল করে ৪০ টি দোকান ও বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছিল। এসব অবৈধ স্থাপনা অপসারণের জন্য বার বার নোর্টিশ প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে দখলদাররা এসব অপসারণ না করায় জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেষ্ট নিয়োগ দিয়ে স্থানীয় থানা পুলিশের সহযোগিতায় নিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গেলে দখলদাররা বাধা দেয় এবং দাবী করেন আসন্ন কোরবানি ঈদ পর্যন্ত সময় চায়। আগামী ১ জুলাই পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, দখলদাররা নিজ খরচে অবৈধ স্থাপনাগুলো নিজেরা অপসারণ করবে বলে একটি সরকারী ষ্ট্যামে অঙ্গিকার নামা করা হয়। এরপরও তারা স্থাপনা না সরিয়ে নেয় তাহলে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।