
এবার ফটো শেয়ারিং অ্যাপ চালু করছে চীনা মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটক।
কোম্পানিটি বলছে, তারা এতদিন ছবি ও টেক্সটের জন্য ‘আলাদা জায়গা তৈরি’ নিয়ে কাজ করছিল।
এরইমধ্যে ব্যবহারকারীদের একটি অংশ এমন এক নোটিফিকেশন পেয়েছেন, যেখানে উল্লেখ করা হয়, তাদের ফটো পোস্টগুলো এখন থেকে নতুন ‘টিকটক নোটস’ অ্যাপে শেয়ার হবে, যদি না তারা এর থেকে বেরিয়ে আসতে চান।
বিবিসি বলছে, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কোম্পানি কীভাবে একে অপরের পণ্য নকল করে, তার সর্বশেষ উদাহরণ এটি। একইভাবে ২০২০ সালে ‘রিলস’ নামে টিকটকের মতো ভিডিও টুল চালু করেছিল ইনস্টাগ্রাম।
“বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমজুড়ে এমন ‘কপিক্যাট’ প্রবণতা ব্যপক বাড়ছে,” বিবিসিকে বলেন বাজার বিশ্লেষক কোম্পানি ‘ফরেস্টার’ এর গবেষণা পরিচালক মাইক প্রোলক্স।
তিনি আরও বলেন, ঠিকভাবে কাজ করলে এমন কপিক্যাট ফিচার থেকেও ‘ইতিবাচক ফলাফল’ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে, যার উদাহরণ হিসেবে স্ন্যাপচ্যাট থেকে ইনস্টাগ্রামের চুরি করা ‘স্টোরিজ’ ফিচারের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
তবে, টুইটারের (বর্তমানে এক্স)-এর বেলায় এমন পদক্ষেপ যে ব্যর্থ হয়েছিল, সে উদাহরণও টেনেছেন তিনি। তাই টিকটকের এমন পরিকল্পনা আদৌ সফল হবে কি না, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই।
এদিকে, ইনস্টাগ্রাম যে রিলসকে নিজস্ব অ্যাপের কেন্দ্রে আনার লক্ষ্য নিয়েছিল, তা নিয়েও এর আগে ব্যবহারকারীদের একটি অংশ নাখোশ ছিল।
এমনকি ২০২২ সালে কিম কার্দাশিয়ান ও কাইলি জেনারের মতো তারকাও এক পিটিশন শেয়ার করে অন্যান্য ফিচারের চেয়ে রিলসকে প্রাধান্য দেওয়ার বিষয়টি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন কোম্পানিটিকে।
পরবর্তীতে এমন বিতর্কের পর নিজস্ব অবস্থান থেকে ‘ইউ-টার্ন’ নিতে বাধ্য হয় ইনস্টাগ্রাম।
টিকটক বলছে, তারা এখনও নোটস অ্যাপের নকশা চূড়ান্ত করেনি। এমনকি এর উন্মোচনের তারিখও নিশ্চিত নয়।
তবে কিছু সংখ্যক ব্যবহারকারীর কাছে আসা নোটিফিকেশন থেকে ইঙ্গিত মিলছে, অ্যাপে ছবিভিত্তিক বিভিন্ন পোস্ট আপলোড ও শেয়ার করার সুযোগ পাওয়া যাবে। টিকটক অ্যাপে এটি এখন একটি ফিচার হিসেবে আছে, যেখানে ব্যবহারকারীরা সাউন্ড ও ফিল্টার’সহ সিরিজ ছবি পোস্ট করার সুবিধা পান।
নোটিফিকেশনের স্ক্রিনশটে একটি ‘টগল’ দেখা গেছে, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী নিজের ছবিওয়ালা পোস্ট অ্যাপে শেয়ারিং বন্ধ করতে পারবেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পরামর্শক ম্যাট নাভারা বলেছেন, টেক্সট বা ফটো অ্যাপ সিংহভাগ এমন টিকটক ব্যবহারকারীদের জায়গা হতে পারে, যারা পোস্ট করার বদলে কেবল অ্যাপে ‘ঘোরাঘুরি’ করেন।
তবে তিনি আরও উল্লেখ করেন, এমন অ্যাপের জন্য ব্যবহারকারীদের ‘বাড়তি উন্মাদনা’ নেই।
তিনি বলেন, “এ মুহুর্তে এমন অনেক অ্যাপই আছে। তাই এর জন্য বিশেষ চাহিদা আছে বলে আমি মনে করি না।”