প্রকাশ: শনিবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৪, ১২:৩৪ অপরাহ্ন

সুদানের রাজধানী খার্তুমে সুদানি সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে কামানের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় অন্তত ৩৩ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাত থেকে শুক্রবার পর্যন্ত হামলার ঘটনা ঘটেছে।
দেশটিতে সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান ও আধাসামরিক কমান্ডার মোহাম্মদ হামদান দাগলোর বাহিনীর মধ্যে দীর্ঘ সময়ের এ সংঘাতে অন্তত ১২ হাজার ১৯০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, গৃহযুদ্ধের কারণে সুদানে ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ খার্তুমের সোবা জেলায় বিমান হামলায় অন্তত ২৩জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে এএফপি। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। সেনাবাহিনী এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আইনজীবীরা।
রেজিস্ট্যান্ট কমিটি নামে পরিচিত স্থানীয় একটি সংগঠন বলেছে, আবাসিক এলাকায় এবং স্থানীয় বাজারে কামানের গোলাগুলিতে অন্তত ১০জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন।
গত বছরের এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে খার্তুমে এ গৃহযুদ্ধ শুরু হলেও সম্প্রতি তা দক্ষিণের দিকে সরে এসেছে। দক্ষিণ খার্তুমেই এখন বেশি হামলার ঘটনা ঘটছে। গতকাল দক্ষিণ সুদানের আল জাজিরা রাজ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। যুদ্ধ থেকে বাঁচতে এ এলাকায় কয়েক হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল।
সরকারি প্রশাসন বুরহানের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও রাজধানী খার্তুমের রাস্তা মূলত বিদ্রোহী দাগলোর বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
গত বছরের ১৫ এপ্রিল সুদানের সামরিক বাহিনীর (এসএএফ) সঙ্গে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। দেশটির সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে আধা সামরিক বাহিনী বিদ্রোহ ঘোষণা করার মাধ্যমে এ সংঘাতের সূত্রপাত। দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার যুদ্ধবিরতির চুক্তি হলেও শেষ পর্যন্ত কোনো পক্ষই চুক্তি মানেনি।