প্রকাশ: বুধবার, ১৪ জুন, ২০২৩, ৪:৪৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: বুধবার, ১৪ জুন, ২০২৩, ৪:৪৯ অপরাহ্ন

শেরপুর জেলা ( উত্তর ) গারো পাহাড়ের আনাচে কানাচে ঝোপঝাড় ও জঙ্গল দিয়ে প্রবাহিত ঝরনা, ছড়া এবং ঝিরিগুলো এখন আর চোখেই পড়েনা।
ইতোপূর্বে এসব পরিবেশ এবং প্রতিবেশ সুরক্ষায় বছরের পর বছর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছিল। ধারণা করা হচ্ছে বিগত ৫০ বছর আগেও গারো পাহাড় ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার বিস্তীর্ন পাহাড়ি এলাকাজুড়ে ছিল শত শত ঝরনা, ছড়া এবং ঝিরির প্রবাহ।
এসব ঝরনা, ছড়া এবং ঝিরি দিয়ে পানির ধারা বহমান থাকত এবং মানুষ,পশু-পাখি ও জীবজন্তু- জানোয়ার এই পানির ধারা থেকে তৃষ্ণা মেটাত।
বিপুল সংখ্যক ঝর্ণা,ছড়া এবং ঝিরি থাকায় মাত্র ৫০ বছর আগেও গারো পাহাড়জুড়ে ছিল হরেক রকম গাছপালা ও প্রাণীবৈচিত্র।
কিন্তু এখন এসব ঝরনা,ছড়া এবং ঝিরির সংখ্যা প্রায় শূণ্যের কোটায় নেমে এসেছে। আশঙ্কাজনকহারে ঝরনা,ছড়া এবং ঝিরি কমে যাওয়ায় সরকার ও এগুলোকে রক্ষায় বিশেষ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।
পানির উৎস্যসমূহ চিহ্নিত ও পুনরুজ্জীবিত করণের মাধ্যমে টেকসই পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা এবং সমীক্ষা বিষয়ক চিন্তাচেতনা এখানে একেবারেই অনুপস্থিত।
ঝিনাইগাতী গারো পাহাড়ের শতবর্ষী ডা: আব্দুল বারী ও আলহাজ্ব শরীফ উদ্দিন সরকার দৈনিক জবাবদিহিকে বলেন, ইতোপূর্বে গারো পাহাড়ের এসব ঝরনা, ছড়া ও ঝিরিতে পাহাড়ি মানুষ, পশু পাখি এবং জীবজন্তু- জানোয়ারের বসবাস ছিল।
বর্তমানেসামান্য যেসব ছড়া অবশিষ্ট আছে সেগুলোর মধ্যে কিছু বারোমাসি এবং অনেকগুলো মৌসুমী ছড়া। বারোমাসী ছড়ায় সবসময় কমবেশি পানির ধারা প্রবাহ থাকলেও মৌসুমি ছড়ায় বিশেষ বিশেষ সময় পানির দেখা মেলে।
গারো পাহাড়ে সবগুলো ছড়াকে বারোমাসি ছড়ায় পরিণত করতে নির্বিচারে গাছ কাটা বন্ধ করা, অধিক হারে বাঁশের ঝোপ
রোপণ, ছড়া থেকে পাথর- বালি উত্তেলান বন্ধ করা,পাহাড়ি ঝিরির ৪০-৫০ ফুট এলাকার মধ্যে কোনো ধরনের চাষাবাদ না করা, পরিকল্পিত বনায়ন করাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া জরুরী বলে তাঁরা মনে করেন।
এ ব্যাপারে সরকার ও বন বিভাগের সুদৃষ্টি দেয়া অত্যাবশ্যক বলে গারো পাহাড়ের সুস্থ্য বিবেকসম্পন্ন চিন্তাশিল ব্যাক্তিগণ ও পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও ) মো: ফারুক আল মাসুদ দৈনিক জবাবদিহিকে বলেন, এ ব্যাপারে বন বিভাগের সাথে আলোচানা করে প্রয়োজনীয় কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় তা ভেবে দেখা হবে।