প্রকাশ: রোববার, ২০ নভেম্বর, ২০২২, ৬:৩৪ অপরাহ্ন

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার ধুবিল মেহমানশাহী গ্রামের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত গারুদহ নদী যা পাড়াপারের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। এই নড়বরে সাঁকো দিয়েই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হয়ে থাকে ধুবিল মেহমানশাহীসহ আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের প্রায় কয়েক হাজার মানুষ।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও মানুষের দুর্ভোগ দূরীকরণের আজও কোনো ব্রিজ নির্মাণ করা হয়নি। ফলে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন সাধারণ মানুষ সহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়,সলঙ্গা থানা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দুরে ধুবিল মেহমানশাহী নামক স্থানে গারুদহ নদীর উপর ব্রীজ না থাকায় প্রতিদিন নদীর পুর্বপাড়ে স্কুল, কলেজ, স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র গড়ে ওঠায় পশ্চিম পাড়ের শিক্ষার্থীসহ স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা নারী-পুরুষকে নানা দুর্ভোগ আর দুর্গতির মধ্যদিয়ে বাঁশের সাঁকো পাড়ি দিতে হচ্ছে।
এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি ব্রীজ নির্মান না করায় শুষ্ক মৌসুমে বাশের সাকো আর বন্যাকালীন সময়ে এই নদী পাড়াপারের এক মাত্র ভরসা খেয়া নৌকা। যা একবার ফেল করলে স্কুল, কলেজ সহ সরকারি বেসকারি কর্মক্ষেত্রে বিঘ্নতার সৃষ্টি হয় বলে জানায় এলাকাবাসি।
ধুবিল মেহমানশাহী গ্রামের হায়দার বিন জামাল ও মেজবাউর রহমান খোকন জানান,আমরা যুগ যুগ ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকো ও বর্ষার মৌসুমে নৌকাতে নদী পার হতে হয়।
গ্রামটি বড় হওয়ায় প্রতিবেশি কয়েকটি গ্রামের মানুষ স্বউদ্দ্যোগে গ্রামের দুই পাশে দুইটি বাশের সাকো তৈরী করেছেন। যা তাদের নিত্য দিনের সাথী।
এব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা.আব্দুল আজিজ জানান, সর্বশ্রেনির জনগনের দীর্ঘদিনের সমস্যা দূরিকরণের উল্লেখিত স্থানে একটি পাকা ব্রীজ তৈরীর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। যা বাস্তবায়নে কোমলমতী শিক্ষার্থী, নানা পেশার মানুষের চাহিদা পুরন সহ অসুবিধা দুর হবে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনস্থ রায়গঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী জানান, জনগনের সমস্যা লাঘবের জন্য ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।
স্বাধীনতার সুফল প্রতিটি এলাকায় পৌছিলেও ধুবিল মেহমানশাহী এলাকার মানুষ ৫০ বছরেও আজও তা থেকে বঞ্চিত। শুধু শিক্ষার্থী,বিভিন্ন পেশার মানুষ নয় -মরদেহ দাফনে কবরস্থানে নেবার সমস্যা দুরিকরণের জন্য দ্রুত একটি ব্রীজ নির্মানের জোরদাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।