এস. কে সাত্তার, শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: বুধবার, ৯ নভেম্বর, ২০২২, ৪:৫৬ অপরাহ্ন

২০ শতক জমিতে শিম চাষে ভাগ্য বদলে গেছে কৃষক অব্দুল কাদিরের। শেরপুর গারো পাহাড়ের ঝিনাইগাতী উপজেলার সন্ধাকুড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদির শিম চাষে সফলতার মূখ দেখছেন।
সে গার্মেন্টস কর্মী ছিলেন। ১৪ বছর চাকুরীতেও স্বচ্ছলতা আসেনি। ভবিষ্যত চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়ে কাদির পরিবার। করোনাকালিন বন্ধ হয়ে যায় গার্মেন্টস।
চাকুরীচ্যুত কাদিরের আয়ের উৎস বন্ধ হওয়ায় হিমসিম খেতে হয় তাকে। ফিরে আসেন বাড়ীতে। নিজস্ব কৃষি জমিও নেই। দিশেহারা হয়ে নতুন রোজগারের চিন্তা করেন।
পিতা-পুত্র আলোচনায় সামন্য জমিতে বেগুনসহ শাক-সবজির চাষ করে। ছোট ব্যাবসাও শুরু করেন। পাহাড়ি ঢলে সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়।
তার পরও ফসল উৎপাদনে হাল ছাড়েননি। জুলাই ২০২২ সাল: ফেসবুকে কেরালা জাতের শিম চাষ পদ্ধতি ও বীজ বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখে তিনি আগাম কেরালা জাতের শিম বীজ রোপনে আবাদে ঝুকে পড়ে। কর্মসংস্থান ও পরিবারের ভবিষ্যৎ চিন্তায় ১ কেজি বীজ কেনেন ৪ হাজার টাকায়।
অর্ধ কেজি রোপন করেন। বাকি বীজ দেন এলাকার আরেক কৃষককে। বীজ রোপন, বাগান পরিচর্যা,কীটনাশক,সার অন্যান্যসহ ১৫-১৬ হাজার টাকা খরচ হয়। তিনি জানান বীজ রোপনের ৪৫ দিনেই প্রতি গাছে ফুল ফুটে।
শিমে ভরে যায় খেত। সবাইকে তাক লাগিয়ে আড়াই মাসেই শুরু শিম বিক্রি। সপ্তাহে দুই দিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকারদের কাছে উচ্চবাজার মূল্যে শিম বিক্রি করছেন। দুই লাখ টাকার শিম বিক্রি করেছেন।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী দুই মাসে দেড়-দুই লাখ টাকার শিম বিক্রি করবেন। বাগান করায় তৈরি হয়েছে অনেক পরিবারের কর্মসংস্থান। আগামীতে বড় পরিসরে শিম চাষ করবেন তিনি।
সে বলেন কর্মকে ছোট মণে করা যাবেনা। চাকুরী বা বেকার না থেকে অনাবাদি জমিতে শাক সবজির চাষ করেও লাভবান হওয়ার সম্ভব। ইউপি সদস্য গোলাম কিবরিয়াসহ কৃষক-কৃষাণীরা বলেন,সবজি বাগান দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে আসছেন অনেকেই।
ফলন ভাল হওয়ায় এ জাতের শিম তারাও চাষ করবেন বলে জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফারুক আল মাসুদ বলেন, আব্দুল কাদির সফল উদ্যোক্তা। শিম চাষে লাভবান তিনি। ২০ শতক জমিতে আগাম শিম চাষে সে স্বাবলম্বী।
ভারতীয় কেরালা জাতের শিম চাষে ইতোমধ্যেই দুই লাখ টাকার শিম বিক্রি করেছেন। উচ্চবাজার মূল্যে ফসল চাষ করলে কৃষক লাভবান হন। এতে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরী হবে এবং কর্মসংস্থানের ও সৃষ্টি হবে বলে আশা করেন তিনি।