দেশের ২১ জেলার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি ও ঘাট সংকট কারণে পণ্যবাহী ট্রাকের লম্বা সিরিয়াল তৈরী হয়েছে। ফলে এক থেকে দুইদিন পর্যন্ত নদী পারের অপেক্ষা করতে হচ্ছে চালকদের। এছাড়া তীব্র গরমে যাত্রীবাহী বাসগুলোকে ফেরি পেতে কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছে এপথে চলাচলরত চালক ও যাত্রীরা। সরেজমিনে শনিবার দুপুর পর্যন্ত ঘাট এলাকা ঘুরে দেখো যায়, দৌলতদিয়া ঘাট অভিমুখে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ ফিডমিলস্ হতে ফেরি ঘাটের জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার সড়কে পন্যবাহি ট্রাকের সিরিয়াল তৈরি হয়েছে। এরমধ্যে কিছু যাত্রীবাহী বাস রয়েছে।
ঘাট সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে এ নৌরুটে ১৯ টি ফেরি থাকলেও চলাচল করছে ১৭টি। এছাড়া দৌলতদিয়া প্রান্তের ৪টি ফেরি ঘাটের ৩টি ঘাট সচল রয়েছে। নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে সকালে ৫ নম্বর ঘাটটি বন্ধ রেখে কাজ করে বিআইডব্লিউটিএ। পরে ঘাটটির কাজ শেষে দুপুর ১২টা দিকে চালু হয়। পরবর্তীতে ৩ নম্বর ঘাট বন্ধ করে উচু করার কাজ শুরু করা হয়। যার কারণে দৌলতদিয়ায় সিরিয়াল তৈরি হয়। তবে যাত্রীবাহি ও পচনশীন পন্যবাহি ট্রাক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঘাট কর্তৃপক্ষ।
ভোট ঠেকানো গণতান্ত্রিক অধিকার নয়: ডিএমপি কমিশনার
যশোর আসা পণ্যবাহী ট্রাক চালক মমিনুল ইসলাম বলেন, গতকাল রাতে এসেছি এখন দুপুর সাড়ে ১২টা বাজে ঘাট থেকে ৫ কিলোমিটার দুরে আছি। জানিনা কখন ফেরির নাগাল পাবো। তবে প্রচন্ড গরমে মহাসড়কে সিরিয়ালে থাকতে নেক কষ্ট হচ্ছে। এরপর আশে পাশে খাবার ও টয়লেটের ব্যবস্থা না থাকায় অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
পন্যবাহী ট্রাক চালক সাইফুল জানান, দৌলতদিয়া ঘাটে দুর্ভোগের শেষ নেই। এই দুর্ভোগ ঈদে কয়েকগুন বৃদ্ধি পাবে। কারণ প্রতিনিয়ত দৌলতদিয়া ঘাটে দীর্ঘ যানবাহনের সারি থাকছে। ঈদে ঘর মূখো যাত্রীদের আরো দুর্ভোগ হবে। এই নৌরুটের যাত্রী দুর্ভোগ কমাতে ফেরি বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই। বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট সহকারী ব্যবস্থাপক আলিম দাইয়ান জানান, এ নৌরুটে ছোট বড় ১৮টি ফেরি চলাচল করছে। এবং দৌলতদিয়া প্রান্তে ঘাট সচল আছে ৩টি। যে কারণে যানবাহনের সিরিয়াল কিছু আছে।