প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ন
ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাবার প্রায় ৫ মাস পর দিল্লির কাছে শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত চাইলো ঢাকা। যা গ্রহণও করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দুই দেশের মধ্যকার বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে ফেরত চাওয়া হয়। যেভাবে ভারত ফেরত নিয়েছিলো উলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকে।
শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে একমত হয়েছিলো দেশটির সবদলই। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, কি হতে পারে পরবর্তী সমীকরণ? জবাব কী দিতে পারে দেশটি? উত্তরে চ্যানেল 24 -কে তিনি বলেন, এখনই কোন প্রত্যাশার কথা বলতে চাই না। দেশটির প্রতিক্রিয়ার জন্যে আমরা অপেক্ষা করবো।
পররাষ্ট্র সচিব আরও জানান, দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকের পর বহু ভুল ধারণা ভেঙ্গেছে দিল্লির। সামনের দিন তাই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন বোঝাপড়ার।
তিনি বলেন, সম্পর্কটা যে জায়গাতে আটকে গেছে সে জায়গা থেকে আমরা বের হতে চাই। আমার ধারণা ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এদেশে আসার মধ্য দিয়ে আমরা সেই জটের প্রথম ধাপে পা রেখেছি। আশা করি দুপক্ষের যদি আন্তরিকতা ও সদিচ্ছা থাকে তবে সামনের পথটা ইতিবাচক হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
চুক্তির আওতায় কোনো রাজনৈতিক নেতাকে ফেরত দিতে বাধ্য নয় ভারত। যদি না সেই ব্যক্তি হত্যা-গণহত্যায় জড়িত থাকে। তবে ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই, ভারতের অনুরোধের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে চুক্তিতে একটি সংশোধন করে। যেখানে বলা হয়েছে, কোন বিচারিক আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে এবং দুই দেশের যেকোন দেশ যদি ঐ আসামিকে ফেরত চায়, তাহলে তাকে ফেরত দিতে হবে।