প্রকাশ: শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৫:২২ অপরাহ্ন
শেষমেশ থাহার এডা ঘর অইলো। শেষ বয়সটা তাও পরিবার লইয়া ঘরে থাহার পামু। আনন্দে কেঁদে দিয়ে এমন কথাগুলো বলেন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার মরিচপুরান ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামের আছিয়া বেগম (৭০)।
তিনি আরো বলেন, যারা ঘর করার টেহা দিছে তাগো লাইগা দোয়া করি। আর যারা ঘর করতে পরিশ্রম করলো এবং যেই সাংবাদিক নিউজ কইরা দিছে তাদের আল্লাহ হাজার বছর বাচাইয়া রাখুক।
উল্লেখ্য, যে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে হাজার হাজার ঘর ভেঙে যায়। ভেঙ্গে যায় আছিয়া বেগমের বসতঘর। ঘর হারিয়ে পরিবার নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েন তিনি। গত ১৫ অক্টোবর আমানুল্লাহ আসিফ এর তথ্য ও ছবিতে ঢলের পানি নেমে গেলেও ভেসে উঠছে ধ্বংসস্তূপ শিরোনামে সংবাদের ভিতরে আছিয়া বেগমের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরা হয়।
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক শাহিন আলম সংবাদটি প্রেরণ করে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষের কাছে। সংবাদ দেখার পর খোঁজ নিয়ে আছিয়া বেগমকে ঘর নির্মাণের জন্য নগদ অর্থ প্রদান করে "আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন"। সেই টাকায় আমানুল্লাহ আসিফ, শাহিন আলম ও রাকিব হাসান রনি,নুর আলম হাসান নয়নসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকের বাস্তবায়নে নির্মাণ করা হয় আছিয়ার টিনশেডের নতুন বসতঘর।
গতকাল শুক্রবার আছিয়ার ঘরের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজ সেবক হাজী ফরহাদ হোসেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা সোহেল রানা, কৃষক দল নেতা আইয়ুব আলী, স্বেচ্ছাসেবক শাহিন আলম, দৈনিক জবাবদিহি প্রতিনিধি আমানুল্লাহ আসিফ, প্রমুখ।
এসময় শাহিন আলম বলেন, দৈনিক জবাবদিহি পত্রিকার নিউজটিতে আছিয়া বেগমের দুর্ভোগ দেখার পর আমি ওই সংবাদ প্রতিবেদকের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংবাদটি আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের কাছে পাঠাই। পরবর্তীতে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন আমাকে সাথে নিয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এর কিছুদিন পর তারা ঘর নির্মাণের জন্য নগদ অর্থ প্রেরণ করেন। তাদের দেওয়া টাকায় আমরা কয়েকজন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী আছিয়া বেগমের ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। আজ ঘরটির উদ্ধোধন করা হলো। আমি দৈনিক জবাবদিহি পত্রিকা ও প্রতিবেদক এবং আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
শিল্পপতি হাজী ফরহাদ হোসেন বলেন, যারা এই ঘরটি নির্মাণ করে দিয়েছে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের প্রতি আমি ধন্যবাদ জানাই। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই পরিবারের পাশে থাকার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।