প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৪:১৩ অপরাহ্ন
রাজশাহীর মোহনপুরে জনপ্রিয হয়ে উঠছে বস্তায় আদা চাষ। এতদিন আদা চাষ সাধারণত জমিতে করা হলেও বর্তমানে কৃষকরা বস্তায় আদা চাষে ঝুঁকছেন। কারণ এতে খরচ এবং জায়গা দুটোই কম লাগে। আবার ফলনও হয় বেশি।
তাছাড়া বাড়ির আঙিনা, বারান্দা, পতিত যেখানে অন্য কোনো ফসল হয় না সেখানে অনায়েসেই বস্তায় আদা চাষ করা যায়।উপজেলার মৌগাছি ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রামের হাবিবুর রহমানের বাড়ির পাশের আঙিনায় অব্যবহৃত পতিত জমিতে ৫শত বস্তা আদা চাষ করে দারুণ সফলতা পেয়েছেন।
সরেজমিনে হাবিবুরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি বস্তায় রোপন করা আদা গাছ চমৎকার সজীবতা ছড়াচ্ছে।হাবিবুরকে দেখে এলাকার অনেক কৃষক বস্তায় আদা চাষে ঝুঁকছে।
হাবিবুর রহমান জানান, বস্তায় মাটি ঝুরঝুরে থাকে এতে আদা বর্ধনে কোনো ধরনের সমস্যা হয় না। অথচ সাধারণ জমিতে আদা রোপনের কিছুদিন পরেই মাটি শক্ত হয়ে যায়। তখন আদার শারীরিক আকার বৃদ্ধিতে সমস্যা হয়। বস্তায় আদা চাষে পরিচর্যা করাও সহজ। প্রয়োজনে যেকোনো সময় স্থানান্তরও করা যায়। জৈব সার ছাই ও বালু মিশিয়ে মাটি প্রস্তুত করে বস্তায় রাখা হয়। এরপর প্রতিটি বস্তায় দুটি করে আদার চারা রোপণ করলে মাত্র এক মাসের মাথায় গাছ বড় হতে শুরু করে। এরপর মাত্র তিন মাসের মধ্যে গাছগুলোর গোড়ায় আদা ধরতে শুরু করেছে।
তিনি আরও জানান, পাঁচশত বস্তায় প্রায় খরচ হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। এক লক্ষ ৫০ হাজার থেকে দুই লক্ষ টাকা পাবো বলে আশা করছি।
উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার কামরুল ইসলাম বলেন, মোহনপুরে বস্তায় আদা চাষ জনপ্রিয় হচ্ছে এ বছর প্রায় ১০হাজার ৩ শত ২০ বস্তা বস্তায় আদা চাষ হয়েছে সামনে বছরের লক্ষ্য মাত্রা ৫০ হাজার বস্তা।
জেলা উপ-পরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোছা: উম্মে সালমা বলেন,, এভাবে আদা চাষে সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো পতিত জমিতে সীমিত খরচ আর অল্প শ্রম। একেকটি বস্তায় প্রায় দুই কেজি থেকে আড়াই কেজি পর্যন্ত আদা পাওয়া যাবে। তাই এটি লাভজনক চাষ পদ্ধতি। আদা গাছে পানির চাহিদা অনেক কম। আবার সার বা কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় খুবই কম। মাঝেমধ্যে পাতা মরা রোগ প্রতিরোধে কিছু ওষুধ স্প্রে করতে হয়। এর বাইরে তেমন কোনো পরিচর্যা করতে হয় না।বস্তায় আদা চাষ লাভজনক ফসল। সারা বছর যেনো আদা চাষ করা যায় সেজন্য কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণসহ পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।