গাজায় যুদ্ধ এখনই বন্ধ করতে চান না ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গতকাল সোমবার (৯ ডিসেম্বর) তিনি এ কথা বলেন।
নেতানিয়াহু জেরুজালেমে এক প্রেস কনফারেন্সে বলেন, দীর্ঘ ১৪ মাস ধরে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ চলছে, এ অবস্থায় যদি যুদ্ধ বন্ধ করা হয়, তাহলে হামাস পুনরায় গাজা দখল করবে এবং আমাদের ওপর হামলা চালাবে। সুতরাং আমরা তাদের আর ফিরতে দিতে পারি না।
নেতানিয়াহু পুনর্ব্যক্ত করেন, তিনি হামাসকে পুরোপুরি ধ্বংস করতে চান, যাতে ভবিষ্যতে ইসরায়েলে আর হামলার ঘটনা না ঘটে। হামাসকে পুরোপুরিভাবে ধ্বংস করার কাজ এখনও শেষ হয়নি।
গত ২৩ অক্টোবর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কন বলেছিলেন, ইসরায়েল পুরোপুরিভাবে হামাসের সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করেছে এবং তাদের নেতৃত্বকে পঙ্গু করে দিয়েছে। সুতরাং এটি তাদের বড় সফলতা। এখন জিম্মিদের ফিরিয়ে এনে যুদ্ধ শেষ করার প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত।
গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে একাধিকবার ব্যর্থ চেষ্টার পর নতুন করে আবারও যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে। আশা করা হচ্ছে এটি বাস্তবায়িত হতে পারে।
মধ্যস্থাকারী দেশ কাতার গত শনিবার জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ায় নতুন করে গাজায় যুদ্ধবিরতির আশা দেখা যাচ্ছে।
হামাস প্রতিনিধি দলের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, তুরস্কের পাশাপাশি মিশর, কাতার গাজায় যুদ্ধ বন্ধে নতুন করে পদক্ষেপ শুরু করেছে। শিগগির এ বিষয়ে আলোচনা শুরু হবে।
এদিকে রোববার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় জিম্মি পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি বলেন, হামাস ও হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধ প্রক্রিয়া জিম্মিদের মুক্তির পথ তৈরি করবে।
জিম্মিদের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে তাদের মুক্তির দাবিতে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আসছে। এছাড়া তারা এও অভিযোগ করেন, জিম্মিদের কেন্দ্র করে নেতানিয়াহু এ যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে ১২০৮ জনকে হত্যা করে তারা এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। এদের মধ্যে এখন ৯৬ জন গাজায় জিম্মি রয়েছে।
হামাসের হামলার পরই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এ হামলায় এ পর্যন্ত ৪৪ হাজার ৭৫৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের অধিকাংশ নারী ও পুরুষ।