প্রকাশ: সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫৩ অপরাহ্ন
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় নুরুল আমিন (২৪) নামের এক রোহিঙ্গার যুবকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় ওই রোহিঙ্গাকে সহযোগীতার অভিযোগে স্থানীয় আরও দুই যুবককে আটক করা হয়।
আটক রোহিঙ্গা যুবক নুরুল আমিন কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার জি-৩ বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৯ এর বাসিন্দা। তার বাবার নাম হোসেন ওরফে লালু মিয়া ও মায়ের নাম ইশারত ফাতেমা। রোহিঙ্গা নুরুল আমিনকে সহযোগিতা করেন
সাদুল্লাপুর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের মহিষবান্দি গ্রামের আশরাফুজ্জামান সরকারের ছেলে তায়েফ সরকার (২৩) ও জীবন কৃষ্ণ দ্বীপদ উজ্জল (৩৪) একই ইউনিয়নের তরফ কামাল গ্রামের রঞ্জিত চন্দ্র বর্মনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আটক রোহিঙ্গা যুবক সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভোটার নিবন্ধন করতে আসে। এবং নিবন্ধন করতে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র কর্মকর্তার নিকট জমা দেন। পরে নির্বাচন কর্মকর্তার সন্দেহ হলে তিনি যাচাই করে দেখেন কাগজ পত্রগুলো সঠিক নয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মোমেন বলেন, গতকাল রোববার উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ৯নং ওর্য়াডের আরাজী তরফ কামাল গ্রামের (এলাকার কোড নং-০৬২৩) ভোটার তালিকায় নাম অর্ন্তভুক্তির জন্য ওই রোহিঙ্গা যুবক স্থানীয় দুইজনকে সঙ্গে নিয়ে তার কার্যালয়ে আসে। ভোটার আবেদনের অনলাইন কপি ও সংযুক্ত কাগজপত্রে পিতার নাম মোঃ হেলাল উদ্দিন ও মায়ের নাম রত্মা বেগম উল্লেখ করেন। তাদের দেওয়া কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আমার সন্দেহ সৃষ্টি হয়। পরে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করি এবং রোহিঙ্গা যুবক নুরুল আমিনের কথাবার্তায় চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার উচ্চারণ পাওয়া যায়।
জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে রোহিঙ্গা যুবক তার সঙ্গে থাকা দুই যুবকের সহায়তায় এই এলাকার ভোটার নিবন্ধন করতে আসেন বলে স্বীকার করে। তাদের জমা দেওয়া কাগজ পত্র ভুয়া ও তৈরি করা। পরে বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করা হয়। পুলিশ এসে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
সাদুল্লাপুর থানার ওসি তাজউদ্দিন খন্দকার জানান, খবর পেয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা১ হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুল মোমেন বাদি হয়ে রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আটক স্থানীয় দুই যুবক জাল জন্ম সনদপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র তৈরি এবং সনাক্তকারী হিসাবে ওই রোহিঙ্গা যুবককে সহায়তা করে। সোমবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। কিভাবে রোহিঙ্গা উপজেলার সাদুল্লাপুরে আসার বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।