প্রকাশ: রোববার, ২৪ মার্চ, ২০২৪, ৭:৩২ অপরাহ্ন

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব-আশুগঞ্জের মাঝামাঝি চরসোনারামপুরে বাল্কহেডের ধাক্কায় মেঘনায় ডুবে যায় পর্যটকবাহী ট্রলার।
ট্রলারে নারী-পুরুষ মিলিয়ে ১৫-১৬ জন মেঘনা নদীতে ঘুরতে যায়। ফেরার সময় ভৈরবের বিপরীত পার্শ্বে মেঘনা নদীর আশুগঞ্জের চর সোনারামপুরের সীমানায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি খালি বাল্কহেডের সঙ্গে ট্রলারটির সংঘর্ষ হয়। এতে ট্রলারটি ডুবে যায়।
স্থানীয়দের সহযোগিতায় কয়েকজন পাড়ে ওঠতে পাড়লেও নিখোঁজ হয় অন্তত ৬ জন। উদ্ধার একজনকে ভৈরবের হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এরপর গতকাল দুই জনের এবং আজ আরো তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হল।
গতরাতে নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবল সোহেলের বাবা আবদুল আলিম বাদী হয়ে বাল্কহেডের চালক ও সহকারীর বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এদিকে, উদ্ধার করা হয়েছে ডুবে যাওয়া পর্যটকবাহী ট্রলারটি। আজ বেলা ১১ টার দিকে আশুগঞ্জের চর সোনারামপুর চরে ট্রলারটি উদ্ধার করে রাখা হয়। ট্রলারডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন, ভৈরব হাইওয়ে থানার কনস্টেবল সোহেল রানার স্ত্রী মৌসুমী বেগম, তাদের সাত বছর বয়সী মেয়ে ইভা বেগম, শিশু আরাধ্য, রুপা দে, সুবর্না আক্তার ও নরসিংদী জেলার বেলাবো উপজেলার আনিকা।
এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বেলন দে (৩৮), পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা এবং তার পুত্র সন্তান। সকল নিখোঁজদের খোঁজে না পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ভৈরব নৌ থানার ওসি কে এম মনিরুজ্জামান।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শুরু হয় তৃতীয় দিনের উদ্ধার অভিযান। সকাল ১১টার দিকে উদ্ধার করা হয় ট্রলারটি।