শুক্রবার ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
 

যুদ্ধবিরতির পরদিনই লেবাননে ইসরায়েলের হামলা    চিন্ময় দাসের ঘটনায় নিজেদের পুলিশকে মারল ভারতীয়রা    সমন্বয়কদের ওপর হামলা হালকাভাবে দেখছে না সরকার    কনসার্টের একদিন আগেই ঢাকায় আতিফ আসলাম    জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে একমত জামায়াত    ‘চার মাসে সেনাবাহিনীর ১২৩ সদস্য হতাহত’     হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বাড়লো ১৫ দিন   
ফুলবাড়ীতে আগাম জাতের আলু চাষে লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
প্রকাশ: শনিবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৪, ৩:৪৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: শনিবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৪, ৩:৪৪ অপরাহ্ন

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে আগাম আলু চাষে আশানুরুপ লাভের মুখ দেখায় হাসি ফুটেছে আলুচাষিদের মুখে। উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে অন্তত চারগুণ লাভ হয়েছে প্রত্যেক চাষির। পাইকাররা চাষিদের ক্ষেত থেকেই আলু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। 

এ কারণে আলু চাষে ঝুঁকে পড়েছেন উপজেলার কমবেশি সব এলাকার চাষিরা। উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পৌর এলাকাসহ সাতটি ইউনিয়নে ১ হাজার ৭৭০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রতি হেক্টরে ২৫ থেকে ৩০ মেট্রিক টন আলু। এর মধ্যে ২২০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ করা হয়েছে।

উপজেলার পলিশিবনগর গ্রামের আলু চাষি হামিদুল ইসলাম বলেন, দেড় বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ করেছেন। মাত্র ৫৬ দিন পরেই ক্ষেত থেকে নতুন আলু তুলতে শুরু করেছেন। আলুর ফলনও ও দাম দু’টোই আশানুরুপ পেয়েছেন। আবহাওয়া ভালো থাকায় আলু ক্ষেতে তেমন রোগ বালাই না ধরায় কীটনাশক স্প্রে করতে হয়নি। দেড় বিঘা জমিতে আলু চাষে তার খচর হয়েছে প্রায় ৩২ হাজার টাকা। জমি থেকেই পাইকাররা প্রতিকেজি ৪৪ টাকা কেজি দরে কিনে নিয়ে গেছেন। তার জমির উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে অন্তত দেড় লাখেরও বেশি টাকা লাভ হবে হবে আশা করছেন।

উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আলু চাষি যোতিশ চন্দ্র রায় বলেন, প্রায় চার বিঘা জমি বর্গা নিয়ে আলু চাষ করেছেন। দু-একদিনর মধ্যে তার জমির আলু তোলা শেষ হবে। তেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় আলুর উৎপাদন খরচ তুলনামূলক কম হয়েছে। বর্তমানে আলুর বাজার দর ভালো থাকায় আশানুরুপ লাভ হবে বলে তিনি আশা করছেন।

উপজেলার আলুর পাইকার ক্রেতা কালুকান্ত দত্ত বলেন, বাজারে আগাম জাতের আলু উঠায় এসব আলু রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। এ বছর আলুসহ সব ধরণের সবজির দাম বেশি হওয়ায় চাষিরা লাভবান হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার বলেন, চাষিরা আগাম জাতের আলু ক্ষেত থেকে ৫৫-৬০ দিনের মধ্যে উত্তোলনের পর ওই জমিতে পুনরায় ভুট্টা কিংবা বোরো ধান চাষ করতে পারবেন। উপজেলায় আগাম জাতের আলু ২২০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি হেক্টর জমিতে ১৫ মেট্রিক টন। এ বছর বাজারে নতুন আলুর আশানুরুপ দাম পাওয়ায় আলু চাষিরা লাভবান হয়েছে। তবে আগাম জাতের আলু চাষের বিষয়ে উপজেলা কৃষি দপ্তর থেকে সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. আক্তার হোসেন রিন্টু
বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ : প্রকাশক কর্তৃক ৮২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক (৩য় তলা) ওয়্যারলেস মোড়, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
বার্তা বিভাগ : +8802-58316172. বাণিজ্যিক বিভাগ : +8801868-173008, E-mail: dailyjobabdihi@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক জবাবদিহি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft