
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ডলারের এবং বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার যে প্রভাব সেটা 'দরিদ্র দেশ' হিসেবে আমাদের উপর একটু বেশি পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
ভোক্তা অধিকার দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ মন্তব্য করেন।
বুধবার (১৫ মার্চ) বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উদযাপন করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এবারে 'নিরাপদ জ্বালানী, ভোক্তাবান্ধব পৃথিবী' প্রতিপাদ্য সামনে রেখে এ দিবস পালন করা হচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি আরও বলেন, 'জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতায় আঘাত এসেছে। ডলারের দাম বৃদ্ধির যে প্রভাব, সেটা আমরা দরিদ্র দেশ বলে একটু বেশি। এসময় আমাদেরকে সাশ্রয়ী হতে হবে, পাশাপাশি দেখতে হবে উৎপাদনটা যাতে আমরা বেশি করতে পারি, ঠিক রাখতে পারি।'
তিনি বলেন, 'আমরা নানারকম ব্যবস্থা নিচ্ছি রমজানে বাজারটা ঠিক রাখতে। তবে সবারই উচিত একটা বিষয় খেয়াল রাখা, যাতে ব্যবসায়ীরা মজুদ করতে না পারে। কারণ উৎসবের সময় সব দেশ বড় ডিসকাউন্ট দিয়ে পণ্য বিক্রি করলেও আমাদের দেশে ব্যবসায়ীরা সুযোগ নেয়। কারও হয়তো আগের কেনা পণ্য আছে, কিন্তু একটা ঝামেলা হলেই সে তার দাম বাড়িয়ে দেয়।'
এবারে রোজার প্রয়োজনীয় পণ্যের যথেষ্ট মজুদ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আমরা ১৯ তারিখ টাস্কফোর্সের একটা মিটিং করবো, ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চাইবো। তবে একটা অনুরোধ, যাতে ভোক্তারা হুমড়ি খেয়ে এক মাসের বাজার না করে। তাহলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টকর।'
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, 'গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের এই সময়ে জ্বালানির নিরাপদ ব্যবহারের মাধ্যমে যাতে ভোক্তা নিরাপদ থাকতে পারে, সেজন্যই এবারের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে। এছাড়া আমাদের দিবস উদযাপনের উদ্দেশ্যই হলো, যাতে ভোক্তা তার অধিকার সম্বন্ধে জানতে পারে।'
এসময় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, 'ভোক্তার সঙ্গে যাতে আমাদের কানেক্টিভিটি বাড়ে সে কারণেই আমরা কনজ্যুমার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করেছি। এতে ভোক্তারা ডিজিটালি তাদের অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।'
জ/আ