
ভারতে অনুপ্রবেশ মামলায় মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ের জজ কোর্ট থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ। তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে ভারত সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সালাহ উদ্দিন বুধবার (১ মার্চ) গণমাধ্যমেক বলেন, “গতকাল মঙ্গলবার শিলং জজ কোর্টের আপিল বিভাগ আমাকে বেকসুর খালাস দিয়ে রায় দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ্। এখন বাংলাদেশে ফিরতে চাই।
আদালতের আদেশের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'নিম্ন আদালতে ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর আমি খালাস পেয়েছিলাম। ভারত সরকার পরে জজ আদালতে ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছিল। আপিলটি গতকাল খারিজ হয়ে গেছে।'
আদালতের আদেশ বুধবার অনলাইনে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, অফিসিয়াল আদেশের জন্য আমরা অপেক্ষা করছিলাম। তাই আজ জানালাম। এখানকার আদালতগুলো অনলাইনে সবকিছুর আপডেট দেয়।'
'আদেশে ভারত সরকারকে যত শিগগির সম্ভব আমাকে আইনি প্রক্রিয়ায় দেশে ফেরত পাঠানোর কথাও বলেছেন আদালত,' যোগ করেন তিনি।
এখন আপনার পরবর্তী করণীয় কি, এমন প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'ভারত সরকার নিশ্চয় আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের করণীয়গুলো সম্পন্ন করবে। আমার কাছে কোনো ট্রাভেল ডকুমেন্ট নেই। আমি ধরে নিচ্ছি তারা যে কোনো সময় আমাকে দেশে ফেরত পাঠাতে পারে।'
তিনি আরও বলেন, 'আমি দেশে ফিরব। ফেরার পর যা হওয়ার হবে। দেশে গিয়ে যেটা হবে সেটা তখন দেখা যাবে। সবসময় দেশেই ফিরতে চেয়েছি। কেউ কেউ অনেক সময় অন্যরকম নিউজ করেছে। তারা আমার সঙ্গে কথা বলে নিউজ করেনি। বয়স হয়েছে, আমি মরতে চাই দেশে গিয়েই।'
প্রসঙ্গত, সালাহ উদ্দিন বিসিএস ক্যাডারের কর্মকর্তা হয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। ১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব ছিলেন তিনি।
পরে সরকারি চাকরি ছেড়ে তিনি বিএনপিতে যোগ দিয়ে রাজনীতিতে নামেন। ২০০১ সালে তিনি কক্সবাজার থেকে বিএনপির মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন, পরে চারদলীয় জোট সরকারের যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীও ছিলেন। তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদও সংসদ সদস্য ছিলেন।
২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন সালাহউদ্দিন আহমেদ। নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ সালাহউদ্দিনকে উদ্ধার করে বলে জানা যায়।
বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী তাকে গ্রেপ্তার দেখায় মেঘালয় থানা পুলিশ। একই বছরের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়।
ভারতে আটকের সময় সালাহউদ্দিন আহমেদ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। পরে বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে তিনি দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হন।
জ/আ