শুক্রবার ১৫ আগস্ট ২০২৫ ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২
 

মুজিবনগরে সাথী ফসল চাষে লাভের আশা দেখছেন চাষিরা
মেহেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: শনিবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩, ৫:০৪ অপরাহ্ন

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলায় শস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত পরিচিত। সবজি ফসল হিসেবে উপজেলার সবচেয়ে বেশী উৎপাদন হচ্ছে পেঁয়াজ চাষ। 

প্রায় সব ধরনের চাষ করে থাকে এই উপজেলার চাষীরা। আবার শীতকালীন সবজি চষেও পিছিয়ে নেই এখানকার কৃষকরা। অন্যান্য চাষের পাশাপাশি বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে পেঁয়াজ চাষে। 

পেঁয়াজের সাথেই সাথী ফসল হিসেবে পেঁয়াজের জমিতেই কলা ও কচু চাষ করছেন এখানকার কৃষকরা। এক খরচে দুই ফসল ঘরে তুলে লাভবান হচ্ছে কৃষকরা।

গতবছরে এ উপজেলায় কৃষকরা পেঁয়াজ চাষ করেছিল ১৫’শ হেক্টর। সে তুলনায় চলতি মৌসুমে পেঁয়াজ চাষ করেছেন ১১৫০ হেক্টর। 

চলতি মৌসুমে সাথী ফসল পেঁয়াজ ও কলা ৬০০ হেক্টর জমিতে চাষ করেছিল কৃষকরা। চলতি মৌসুমে ৬৮০ হেক্টর জমিতে সাথী ফসল চাষ করেছেন কৃষকরা। কেউ কেউ সেই চারা খেতে লাগাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ খেত আগাছামুক্ত করতে নিড়ানি দিচ্ছেন। 

অধিক লাভের আশায় এক সাথে দুই ফসল পেঁয়াজ ও কলা চাষে কৃষকরা মন প্রাণ সপে দিয়ে কাজ করছেন মাঠে। উপজেলার একাধিক পেঁয়াজের জমিতে কৃষকদের কর্ম ব্যস্ততার এমন দৃশ্য ওঠে আসে। 

পেঁয়াজ চাষী দেলোয়ার জানান, সুখসাগর পেঁয়াজে খরচের সংখ্যা বেশি। জমি চাষ থেকে শুরু করে বিক্রি পর্যন্ত বিঘা প্রতি খরচ হয় ৪৫ হাজার টাকা। 

তিনি বলেন, তাই আমরা পেঁয়াজের জমিতে কলার আবাদ করি। যাতে করে পেঁয়াজ চাষের খরচে কলা চাষটাও উঠে আসে। যে কোন একটি ফসলে যদি ভালো দাম না পায় তাহলে আরেকটির উপর ভরসা থাকলে পুরো ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। 

তাই আমারা এক সাথে দুই ফসলের চাষ করি। এবং এক সাথে দুই ফসলে আমারা লাভবান হই। চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সুখসাগর পেঁয়াজে ভাল উৎপাদন হবে বলে জানিয়েছেন পেঁয়াজ চাষী দেলোয়ার হোসেন। তিনি পেঁয়াজের দাম ঠিক রাখতে বৈদেশিক পেঁয়াজ আমদানিতে মৌসুমের তিন মাস বন্ধ রাখার আহ্বান জানান। 

এ বিষয়ে মুজিবনগর উপজেলার কৃষি অফিসার মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনেকটাই অনুকূলে। কৃষকরা বীজ বপন থেকে শুরু করে চারা পরিচর্যা সুষ্ঠভাবে করতে পারছেন। 

তেমন কোন রোগবালাই নেই। এক সাথে দুই ফসল চাষে আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিই। যেমন কলার সাথে পেঁয়াজ। কচুর সাথে পেঁয়াজ আবার কলার সাথে হলুদ চাষ। 

এক কথায় একটার সাথে আরেকটা চাষের সুযোগ থাকে এবং সাথী ফসল হিসাবে সেগুলো একসাথে চাষ করলে আবাদে লোকসানের ঝুঁকি থাকে না। তাই সাথী ফসল চাষে আমরা সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকি। 

পাশাপাশি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি প্রদর্শনী দিয়ে সহযোগিতা করি। যাতে করে আরেকজন কৃষক সেটা দেখে সাথী ফসল হিসাবে একসাথে দুই ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ হয়। এবং মাঠ পর্যায়ে উপ সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার মাধ্যমে সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকি। 

এবার অল্প পরিসরে সাথি ফসলের উৎপাদন শুরু হয়েছে। এতে ভরা মৌসুমে কৃষকরা ভালো দাম পাবে বলে আশা করছি। 


« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: আক্তার হোসেন রিন্টু
বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ : প্রকাশক কর্তৃক ৮২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক (৩য় তলা) ওয়্যারলেস মোড়, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
বার্তা বিভাগ : +8802-58316172, বাণিজ্যিক বিভাগ : +8802-58316175,+8801711443328, E-mail: info@jobabdihi.com , contact@jobabdihi.com
কপিরাইট © দৈনিক জবাবদিহি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft