মঙ্গলবার ৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২২ পৌষ ১৪৩১
 

আগামী মাসে প্রতিষ্ঠিত হবে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’    অগ্রাধিকারমূলক কাজের তালিকা দিলেন উপদেষ্টা মাহফুজ    দেশে বর্তমানে বেকার ২৬ লাখ ৬০ হাজার মানুষ    বাংলাদেশ প্রসঙ্গে সুর পাল্টালেন মমতা    মিরপুরে গ্যারেজে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৩ ইউনিট    ফ্ল্যাট বিতর্কে পদত্যাগের চাপে টিউলিপ সিদ্দিক    বেশ কয়েকজন বিচারপতির অনিয়ম পূর্নাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের   
অর্থনৈতিক মন্দা নিরসনে
বৃহত্তম সোনার খনি বিক্রি করবে পাকিস্তান
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০:০০ অপরাহ্ন

বেশ কয়েক বছর ধরেই অর্থনৈতিক সংকটে ধুঁকছে পরমাণু শক্তিধর দেশ পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ বেশ কয়েকটি মিত্র দেশের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা নিয়েছে ইসলামাবাদ। কিন্তু তারপরও পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট কাটেনি। 

তবে, তাদের হাতে আছে বিরাট এক গুপ্তধন। এ গুপ্তধনই পাকিস্তানকে আশা দেখিয়ে আসছিল।

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে অবস্থিত রেকো ডিক খনি। এই খনিটিকে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ তামা ও সোনার খনি হিসেবে গণ্য করা হয়। 

বলা হয়, এই খনিই পারে পাকিস্তানের বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটের সমাধান করতে। তবে এবার গুরুত্বপূর্ণ এই খনির উল্লেখযোগ্য অংশ ইসলামাবাদ বিক্রি করে দিচ্ছে বলে জানা গেছে। 

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, বেলুচিস্তানে অবস্থিত রেকো ডিক খনি প্রকল্পের শতকরা ১৫ ভাগ শেয়ার সৌদি আরবের কাছে বিক্রি করে দেওয়া অনুমোদন করেছে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তঃসরকার চুক্তির ভিত্তিতে এই শেয়ার বিক্রি করা হবে। এই চুক্তির ফলে ৫৪ কোটি ডলার পাবে পাকিস্তান। প্রথম ধাপে শতকরা ১০ ভাগ শেয়ারের জন্য পাকিস্তানকে ৩৩ কোটি ডলার এবং দ্বিতীয় ধাপে বাকি শতকরা ৫ ভাগ শেয়ারের জন্য ২১ কোটি ডলার দেওয়া হবে।

জানা গেছে, খনি প্রকল্পের অংশীদারিত্ব পাওয়ার বদলে পাকিস্তানের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য আর্থিক অনুদানের প্রস্তাব দেয় সৌদি, যা পাকিস্তানের অর্থনীতিকে মজবুত করতে পারে বলে আশা করছে ইসলামাবাদ। আর এ থেকেই খনি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয় শাহবাজ শরিফ সরকার।

বর্তমানে এ খনির ৫০ শতাংশের মালিকানা যৌথভাবে পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকার ও বেলুচিস্তান সরকারের। বাকি ৫০ শতাংশের মালিক বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা বা কোম্পানি।

১৯৯৫ সালে প্রথম রেকো ডিক খনি থেকে সোনা ও তামা উত্তোলন শুরু হয়। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এই খনিতে প্রায় ৪০ কোটি টন সোনা থাকতে পারে। যার বর্তমান বাজার মূল্য অন্তত ১ লাখ কোটি মার্কিন ডলার। এছাড়া এই খনিতে প্রায় ৬০০ কোটি টন তামার মজুত রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই খনি থেকে অন্তত ৪০ বছর সোনা ও তামা আহরণ করা যাবে।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. আক্তার হোসেন রিন্টু
বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ : প্রকাশক কর্তৃক ৮২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক (৩য় তলা) ওয়্যারলেস মোড়, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
বার্তা বিভাগ : +8802-58316172. বাণিজ্যিক বিভাগ : +8801868-173008, E-mail: jobabdihimedia@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক জবাবদিহি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft