প্রকাশ: শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ৬:২৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ৬:৩০ অপরাহ্ন
নতুন বই মেলেনি তাতে কিছু যায় আসেনা। আমার যা আছে তাই নিয়েই শুরু করেছি নতুন বছর ২০২৫। বিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর জন্য আমি সংগ্রহ করেছি পুরাতন বই। এভাবেই শুরু হলো নতুন বছর।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নিজ অফিস কক্ষে বসে এসব কথা বলছিলেন সদর উপজেলার ৫৫ নং সাতপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উন্নতি বিশ্বাস।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় থেকে আমাকে ১ম শ্রেণির জন্য ২ সেট এবং ২য় শ্রেণির জন্য ২ সেট বই দিয়েছে নতুন বছরের জন্য। কিন্ত আমি বসে থাকিনি। সকলের পুরাতন বইগুলি সংগ্রহ করে আমি আমার শিক্ষার্থীদেরকে দিয়েছি যাতে তারা ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পারে। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানিয়েছে, প্রধান শিক্ষক উন্নতি বিশ্বাসের এমন দুরদর্শিতা এবং বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্তে তারা অনেক খুশি।
তিনি পুরাতন বই বিতরণ করে তাদের দুশ্চিন্তা দুর করেছেন। নতুন বই না আসা পর্যন্ত ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছে তাতেই তারা খুশি। এবার না হয় নতুন বইয়ের উৎসব নাই হলো।
এদিকে কর্তৃপক্ষ নতুন বই না দেয়ায় গোপালগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে গত ১ ও ২ জানুয়ারি কোনো শিক্ষার্থী দেখা যায়নি। গত ১ জানুয়ারি জেলার কোটালিপাড়া উপজেলার ৯৯ নং হাট শুয়াগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে তালাবন্ধ দেখা গেছে।