মঙ্গলবার ৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২২ পৌষ ১৪৩১
 

আগামী মাসে প্রতিষ্ঠিত হবে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’    অগ্রাধিকারমূলক কাজের তালিকা দিলেন উপদেষ্টা মাহফুজ    দেশে বর্তমানে বেকার ২৬ লাখ ৬০ হাজার মানুষ    বাংলাদেশ প্রসঙ্গে সুর পাল্টালেন মমতা    মিরপুরে গ্যারেজে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৩ ইউনিট    ফ্ল্যাট বিতর্কে পদত্যাগের চাপে টিউলিপ সিদ্দিক    বেশ কয়েকজন বিচারপতির অনিয়ম পূর্নাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের   
জুলাই অভ্যুত্থানে বিভাজন দূর হয়েছে: নাহিদ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭:২০ অপরাহ্ন

অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকার সমাজের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে রেখেছিল। জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা তা দূর করেছি। আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধ আছি।

আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমের সামনে এসব কথা বলেন তিনি।

এদিন বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত আরাফাতের জানাজা রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন উপদেষ্টা নাহিদ ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস-সচিব শফিকুল আলম, আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরুউদ্দীন পাটোয়ারী ও মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম, সমম্বয়ক আবু বাকের মজুমদার প্রমুখ।

এই জানাজার আগে উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, এই শহীদ বাবা-মায়ের সামনে দাঁড়ানোর সাহস আমাদের আর নেই। শহীদ আরাফাত একজন শিশু। দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করতে সে রাস্তায় নেমেছিল। আমাদের শহীদ হওয়ার সৌভাগ্য হয়নি, কিন্তু শহীদ ও আহত পরিবারের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী বাংলাদেশকে বিনির্মাণ করার দায়িত্ব রয়েছে।

নাহিদ বলেন, এই আন্দোলনে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল। বিগত সরকারের মাদ্রাসার ছাত্রদের ওপর ক্ষোভ ছিল। সেই সময় তারা বঞ্চনা ও অবহেলার শিকার হয়েছে। আমরা দেখেছি, কীভাবে ২০১৩ সালে তাদের ওপর পুলিশি নিপীড়ন হয়েছে। তবুও তারা রাস্তায় নেমে লড়াই করেছে, আমরা তাদের স্যালুট জানাই।

অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সমাজের বিভাজন দূর হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার সমাজের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে রেখেছিল। ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা তা দূর করেছি। আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধ আছি।

শহীদ ও আহত পরিবারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ভূষিত করে পুনর্বাসন করা হবে বলেও জানান তিনি।

গণহত্যার বিচার করা এই সরকারের প্রাধান্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, কষ্ট হয় যখন আমরা দেখি, অনেকেই গণহত্যাকারীদের বিচার বাদ দিয়ে নানা ইস্যু নিয়ে কথা বলেন। আমরা সব দাবি-দাওয়ার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু আমরা যে কাজ করতে সরকারে এসেছি, তা বুঝতে হবে। আমাদের সহায়তা করতে হবে। সব গণহত্যা ও গুম-খুনের বিচারের মাধ্যমে সমাজে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, আমরা যেন খুনি হাসিনাকে ভুলে না যাই। যারা হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত, তাদের যেন বিচার নিশ্চিত করা হয়। আমরা যেন শহীদ পরিবারকে এতটুকু বলতে পারি, যারা খুন করেছে, বাংলাদেশের মাটিতে তাদের বিচার হয়েছে।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. আক্তার হোসেন রিন্টু
বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ : প্রকাশক কর্তৃক ৮২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক (৩য় তলা) ওয়্যারলেস মোড়, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
বার্তা বিভাগ : +8802-58316172. বাণিজ্যিক বিভাগ : +8801868-173008, E-mail: jobabdihimedia@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক জবাবদিহি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft