
নানা আয়োজনে শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ঐতিহাসিক পতাকা উত্তোলন দিবস পালন করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে উপজেলার সেঁজুতি অঙ্গনে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে দিবসটির শুভারম্ভ করা হয়।
এরপর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে নালিতাবাড়ী পৌর শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সেঁজুতি অঙ্গনে শেষ করা হয়।
পরে প্রিন্সিপাল মুনীরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কলেজের প্রভাষক স্বপ্না চক্রবর্তী।
শিক্ষার্থী একুশে দ্যুতি ও চন্দ্রিকা দ্যুতি'র সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন শিক্ষক শান্তি সাহা, শিক্ষক অরুপ দেবনাথ প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ইতিহাস তুলে ধরেন। জাতীয় পতাকার তাৎপর্য ও গুরুত্ব নিয়েও কথা বলেন বক্তারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষক দিলারা বেগম, আফরোজা আক্তার,রওনক জাহান রুনি, শঙ্করী সূত্রধর, মনি গাঙ্গুলি, তনিমা ইসলাম, পারভীন আকতার,জেসমিন আকতার, নাজমা খাতুন, ফারজানা বেগম, মমতাজ বেগম, শিরিন বেগম, সুজান্না সাংমা, রাশেদা আকতার,রিক্তা আকতার, রত্না রহমতুল্লাহ, শর্মিলা শরীফসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ এবং সেঁজুতি বিদ্যানিকেতনের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এক ছাত্রসমাবেশে ছাত্রনেতা আ স ম আব্দুর রবের নেতৃত্বে ডাকসু নেতারা বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। সেই পতাকার মাঝখানে ছিল বাংলাদেশের মানচিত্র।
স্বাধীনতার পর পতাকা থেকে মানচিত্রটি বাদ দিয়ে পতাকার মাপ ও রঙ নির্ধারণ করে এর পরিমার্জন করা হয়, যা আজ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।