২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান। আর এই টুর্নামেন্টে পাকিস্তান গিয়ে খেলবে কি না ভারত- তা নিয়ে তুমুল আলোচনা, গুঞ্জন। অবশেষে ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হলো, পাকিস্তান গিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলবে না তারা।
ভারতীয় বোর্ডের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হলো এ প্রতিযোগিতায় খেলার জন্য রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের পাকিস্তানে পাঠাবে না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলকে (আইসিসি) পাকিস্তানে দল পাঠানোর ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের আপত্তির কথা জানিয়েছেন বিসিসিআই কর্তারা।
পাকিস্তানে দল পাঠানোর ব্যাপারে ভারতীয় বোর্ডের কোনও কর্মকর্তা আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ খোলেননি। মুখ খোলেননি আইসিসি কর্তারাও। যদিও আইসিসি সূত্রেই বিসিসিআইয়ের অবস্থান জানা গেছে। নিজেদের প্রতিবেদনে এমনই দাবি করেছে ক্রিকেট সংক্রান্ত ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো।
সে অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকেই পাকিস্তানে দল না পাঠানোর বিষয়টি মৌখিকভাবে আইসিসিকে জানিয়েছেন বিসিসিআই কর্তারা। লিখিতভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি। আইসিসি লিখিতভাবে জানাতে বলেছে ভারতীয় বোর্ডকে।
২০২৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হওয়ার কথা পাকিস্তানে। ওয়ানডে ক্রিকেটে বিশ্বের সেরা আটটি দল খেলবে এই প্রতিযোগিতায়। ১৯৯৬ সালের পর এই প্রথম পাকিস্তানের মাটিতে আইসিসির কোনও প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা।
একাধিকবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রস্তুতি এবং পরিকল্পনা খতিয়ে দেখে এসেছেন আইসিসির প্রতিনিধিরা। যদিও পাকিস্তানের মাটিতে ভারতীয় দলের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রথম থেকেই সংশয় ছিল।
গত এশিয়া কাপের মতো আগামী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও হাইব্রিড মডেলে আয়োজন করার দাবি জানিয়েছে বিসিসিআই। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মাহসিন নাকভি আবার হাইব্রিড মডেলে প্রতিযোগিতা আয়োজনে নারাজ। আইসিসির কাছে তিনিও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।
পাকিস্তান থেকে প্রতিযোগিতার কোনও অংশ সরাতে দেবে না পিসিবি। যদিও প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় স্থান হিসাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে এবং শ্রীলঙ্কার কথা ভেবে রেখেছেন আইসিসি কর্তারা। আইসিসি কর্তারা ভারত এবং পাকিস্তান দু’দেশের ক্রিকেট কর্তাদের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছেন।
রাজনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েনে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সম্পর্ক নেই গত বেশ কয়েক বছর ধরে। আইসিসির প্রতিযোগিতা ছাড়া ক্রিকেট মাঠে মুখোমুখিও হয় না দুই দেশ। ২০২৩ সালে এশিয়া কাপের আয়োজকও ছিল পাকিস্তান। সেবারও পাকিস্তানে দল পাঠাতে রাজি হয়নি বিসিসিআই।
শেষ পর্যন্ত ভারতের চাপে হাইব্রিড মডেলে প্রতিযোগিতা আয়োজন করে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। ভারতের ম্যাচগুলিসহ অধিকাংশ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল শ্রীলঙ্কায়। যদিও গত বছর একদিনের বিশ্বকাপ খেলতে বাবর আজমদের ভারতে পাঠিয়েছিলেন পিসিবি কর্তারা।
উল্লেখ্য, আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত, পাকিস্তান ছাড়াও খেলার কথা আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার।