প্রকাশ: শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০২৪, ৮:৫৬ অপরাহ্ন
হিজবুল্লাহর পৃথক দুটি রকেট হামলায় ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে সাতজন নিহত হয়েছেন। গত কয়েক মাসের মধ্যে এটাই ইসরায়েলের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ দিন। আজ শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
লেবানন সীমান্তের মেতুলা শহরে রকেটের আঘাতে এক ইসরায়েলি কৃষক ও চার বিদেশি কৃষি শ্রমিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল ক্যাটজ। এছাড়া উপকূলীয় শহর হাইফার শহরতলীতে কিব্বুৎজ আফেক এলাকার জলপাই বাগানে এক ইসরায়েলি নারী ও তার প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে সন্তান নিহত হয়েছেন।
লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা হাইফার উত্তরের ক্রাইয়োত অঞ্চল ও লেবাননের শহর খিয়ামের দক্ষিণে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালিয়েছে। লেবাননের ওই শহর মেতুলা সীমান্তের ঠিক ওপারেই অবস্থিত।
গতকাল বৃহস্পতিবার লেবানন থেকে ধেয়ে আসা দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করতে সক্ষম হলেও প্রতিহত করতে পারেনি আইডিএফ। ক্ষেপণাস্ত্র দুটি সকালে মেতুলার কাছে আঘাত হানে।
নিহত ইসরায়েলি কৃষকের নাম ওমর ওয়েনস্টাইন (৪৬)। তিনি কিব্বুৎজ দাফনার বাসিন্দা ও চার সন্তানের জনক। থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিস সানগিয়ামপংসা আজ শুক্রবার নিশ্চিত করেন, এই রকেট হামলা চার থাই নাগরিক নিহত হয়েছেন। তিনি জানান, অপর এক থাই কর্মী আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি গণমাধ্যম হারেৎজ জানিয়েছে, হামলার সময় ওমর ও বিদেশি কর্মীরা সীমান্তের বেড়ার কাছাকাছি জায়গায় কৃষিকাজে ব্যস্ত ছিলেন।
কিব্বুৎজ আফেকের বাসিন্দা মিনা হাসোন (৬০) ও তার সন্তান কারমি (৩০) রকেট হামলায় নিহত হন। হারেৎজ জানিয়েছে, এ সময় তারা বাগান থেকে জলপাই সংগ্রহ করছিলেন।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী আইডিএফ জানিয়েছে, পশ্চিম গ্যালিলি অঞ্চলে (যেখানে এই কিব্বুৎজের অবস্থান) মোট ৫৫টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। বিকেলের শুরুতে গ্যালিলির মধ্যাঞ্চল ও আপার গ্যালিলিও আক্রান্ত হয়। কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয় এবং বাকিগুলো ‘উন্মুক্ত’ জায়গায় আঘাত হেনেছে বলে আইডিএফ দাবি করেছে।
সেপ্টেম্বরে লেবাননে সর্বাত্মক হামলা শুরুর পর ইসরায়েলি হামলা দুই হাজার ৮০০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি প্রায় ১২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ও অধিকৃত গোলান মালভূমিতে হিজবুল্লাহর রকেট, ড্রোন ও মিসাইল হামলায় ৬০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন।