প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪, ৬:০৫ অপরাহ্ন
লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বাংলাদেশিরা। বর্ণনা দিচ্ছেন ভয়াবহ ঘটনার। অনেকে হামলা থেকে বাঁচতে বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে শুরু করেছেন। খবর আল আরাবিয়া
গতকাল সোমবার (২১ অক্টোবর) লেবাননে থেকে ফিরতে চাওয়া ১৮০০ বাংলাদেশিদের মধ্যে ৫৪ জন অন্তর্বর্তী সরকারের সহযোগিতায় একটি বিমানে করে ঢাকায় ফিরেছেন। এছাড়া আরও অনেকে দেশটির অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে দেশের ফেরার চিন্তাভাবনা করছেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তথ্যানুয়ায়ী ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ বাংলাদেশি লেবাননে কাজ করেন। যার মধ্যে অধিকাংশ শ্রমিক এবং গ্রহকর্মী হিসেবে রয়েছেন।
৬৪ বছর বয়সী আবুল কাসেম। তিনি গত ৪০ বছর ধরে লেবাননের রাজধানী বৈরুদের সমুদ্র উপকূলে বসবাস করছেন। তিনি বলেন, অতীতে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ হয়েছে। কিন্তু এখন যেভাবে ইসরায়েল বিমান হামলা চালাচ্ছে এরকম পরিস্থিতি আগে কখনও দেখা যায়নি। তিনি আরও বলেন, এরকম যুদ্ধের পরিস্থিতি আগে কখনও দেখিনি। তিনি একটি গ্যাস স্টেশনে কাজ করেন।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার একটি চাটার্ড বিমানে করে আসার পর তিনি বলেন, যে গ্যাস স্টেশনে আমি কাজ করেছি, তার চারপাশে সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে।
গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে ইসরায়েল বাহিনী লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ব্যাপক আকারে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া উত্তর সীমান্ত এলাকায় স্থল অভিযানও শুরু করেছে।
এদিকে গত বছর থেকে ইসরায়েলের সীমান্তে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। ফলে ইসরায়েল সীমান্ত থেকে ১০ হাজার বাসিন্দা অন্যত্র চলে গেছে।
লেবাননে কাজ করা অধিকাংশ বাংলাদেশি প্রবাসী অর্থ আয় করে তা পরিবারের কাছে পাঠায়। কিন্তু চারদিকে ইসরায়েলি হামলার ফলে তারা বেশ ক্ষতির মুখে পড়েছে।
২৮ বছর বয়সী মোহাম্মাদ হোসাইন বলেন, যে বাড়িতে বসবাস করতাম, তার পাশের পাঁচটি বাড়িকে মাটির সঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। সম্প্রতি তিনি স্ত্রী ও এক বছরের একটি সন্তানসহ বৈরুত থেকে ফিরেছেন। তিনি বলেন, হামলা খুবই তীব্র, হামলার ফলে গাড়ি পর্যন্ত গলে যাচ্ছে।
গত এক মাস ধরে লেবাননে ইসরায়েল হামলায় ১৪৮৯ জন নিহত হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি।