প্রকাশ: রোববার, ২ জুন, ২০২৪, ৫:১৯ অপরাহ্ন
চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বশেষ চারটি ফাইনালেই স্কোরলাইন ছিল ১-০। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে সেই ধারা ভেঙে স্কোরলাইন হলো ২-০। জয়ী দলের নামে অবশ্য একটি ধারা ঠিকই থাকল। ইউরোপের এই শীর্ষ ক্লাব প্রতিযোগিতায় ১৯৮১ সালের পর ফাইনালে কখনো হারেনি রিয়াল মাদ্রিদ। এবারও ধারাটা বদলায়নি।
ওয়েম্বলিতে ভর করেছিল অদ্ভুত এক দৃশ্য। মার্কো রয়েসের চোখ দুটো টলমল। ভালোবাসার ক্লাবের হয়ে শেষ ম্যাচেও ১১ বছর আগের ভাগ্যটা তাঁর পাল্টায়নি। সেই ওয়েম্বলির ফাইনাল এবং আবারও হার! টনি ক্রুসের চোখ দুটোও টলমল। কিন্তু মুখে হাসি। রিয়ালের সমর্থকদের করতালিতে ভিজে শেষবারের মতো বিদায় নিচ্ছিলেন। তাঁরা দুজনেই কিংবদন্তি। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের স্কোরলাইন ক্রুস ও রয়েসকে উপহার দিয়েছে ভিন্ন ভিন্ন অনুভূতি।
না, ১৯৯৭ ফেরাতে পারেনি ডর্টমুন্ড। ওয়েম্বলিতে তাঁদের জন্য ফিরেছে ২০১৩ ফাইনালের দুঃস্বপ্নই। বিশেষজ্ঞদের কাছে সেটাই ছিল প্রত্যাশিত। প্রতিপক্ষ যে রিয়াল মাদ্রিদ। চ্যাম্পিয়নস লিগের অবিসংবাদিত ‘রাজা’। দানি কারভাহল ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র রিয়ালকে ইউরোপের সেই রাজত্বই পুনরুদ্ধার করিয়ে দিলেন বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের জালে গোল করে। ইউরোপের শীর্ষ ক্লাব প্রতিযোগিতায় ১৮তম ফাইনালে এটি রিয়ালের ১৫তম শিরোপা।
অথচ ডর্টমুন্ড স্বপ্ন দেখেছিল নিজেদের দ্বিতীয় ইউরোপসেরার শিরোপার। সেই স্বপ্ন চূর্ণ হলো ফিনিশিংয়ে দুর্বলতা, কিছুটা দূর্ভাগ্য এবং রিয়ালের ‘ডিএনএ’-তে। চাপ কাটিয়ে গোল আদায় করে কীভাবে ফাইনাল জিততে হয়, তা রিয়ালের চেয়ে ভালো কে জানে!
একাদশে দুটি পরিবর্তন এনেছিলেন রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি। চোট পাওয়া অঁরেলিয়ে চুয়ামেনির জায়গায় এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা এবং পোস্টে আন্দ্রেই লুনিনের জায়গায় থিবো কোর্তোয়া। ডর্টমুন্ড কোচ এদিন তেরজিচ একাদশ পাল্টাননি। চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের সর্বশেষ তিন ম্যাচের একাদশেই ভরসা রেখেছেন।