বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ৮ কার্তিক ১৪৩১
 

বিসিএসে সর্বোচ্চ ৩ বার অংশ নেয়া যাবে না    ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে ১৪ জেলায় জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা    ব্যাংকগুলোর সম্পদ মূল্যায়নের কাজ শুরু হবে নভেম্বরে: গভর্নর    গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ তিনজনকে অব্যাহতি    সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর করা হয়েছে    দেশের অধিকাংশ জায়গায় টানা বৃষ্টি হতে পারে    ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল সরকার   
সুন্দরবনে ২৬ মৃত ও ১৭ আহত হরিণ উদ্ধার
বাগেরহাট প্রতিনিধি:
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০২৪, ১০:৩১ অপরাহ্ন

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুন্দরবনের প্রাণ-প্রকৃতি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে কাজ শুরু করেছে বন বিভাগ। এরই মধ্যে ২৬টি মৃত হরিণ উদ্ধার করা হয়েছে। হরিণ ছাড়াও বনের বিভিন্ন স্থানে মিলছে বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর মরদেহ। ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে বনের ক্ষত।  মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকেল ৩টা পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী বনের বিভিন্ন স্থানে ২৬টি মৃত হরিণ পাওয়া গেছে।  

আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে আরও ১৭টি হরিণ। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বন বিভাগের ২৫টি টহল ফাঁড়ি। লবণপানি ঢুকে নষ্ট হয়েছে কমপক্ষে ৮০টি মিঠা পানির পুকুর।  

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীরা জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে অভ্যস্ত। সাধারণত জলোচ্ছ্বাস হলে বন্যপ্রাণীরা উঁচু স্থান ও গাছে আশ্রয় নেয়। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বনের ভেতর প্রায় পাঁচ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হয়েছে। ফলে বনের উঁচু স্থানও তলিয়ে যাওয়ায় প্রাণীদের আশ্রয় নিতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। অধিক জলোচ্ছ্বাসের ফলে নিরাপদ আশ্রয়ে না যেতে পেরে হরিণগুলোর মৃত্যু হয়েছে।  

সুন্দরবন বিভাগের খুলনাঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দে বলেন, মঙ্গলবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী সুন্দরবনের কটকা ও দুবলা এলাকাসহ বনের বিভিন্ন স্থান থেকে মোট ২৬টি মৃত হরিণ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আহত অবস্থায় আরও ১৭টি হরিণ উদ্ধার করেছেন বনরক্ষীরা। তবে হরিণের পাশাপাশি আরও বন্যপ্রাণী মারা যেতে পারে। সেসব মৃত প্রাণীর খোঁজে বনরক্ষীরা তৎপর রয়েছেন।  

তিনি আরও বলেন, বন বিভাগের টহল অফিসগুলোর টিনের চালা, জানালা-দরজা, সোলার প্যানেল, ওয়ারলেস সিস্টেম ও অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে। পূর্ব বন বিভাগের কটকা অভয়ারণ্যের অফিস ঘাটের জেটি ও পুকুর বঙ্গোপসাগর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। দুবলা, কটকা, কচিখালি, বগিসহ বিভিন্ন বন অফিসসহ ২৫টি টহল ফাঁড়ির রান্নাঘরসহ বিভিন্ন অবকাঠামোর টিনের চালা উড়ে গেছে। আট-১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে লোনা পানিতে তলিয়ে গেছে সুন্দরবনের ৮০টি মিঠা পানির উৎস পুকুর। ফলে বনকর্মীদের পাশাপাশি প্রাণীরাও সুপেয় পানির সংকটে পড়েছে।

২৬ মে রাত থেকে ২৭ মে শেষ রাত পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যায় ঘূর্ণিঝড় রিমাল। এর প্রভাবে ঝড়, বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবনসহ দেশের বিভিন্ন জেলার মতো উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, বিধ্বস্ত হয়েছে অসংখ্য ঘরবাড়ি, নষ্ট হয়েছে ফসল, ভেঙে গেছে গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অসংখ্য এলাকা।  

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. আক্তার হোসেন রিন্টু
বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ : প্রকাশক কর্তৃক ৮২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক (৩য় তলা) ওয়্যারলেস মোড়, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
বার্তা বিভাগ : +8802-58316172. বাণিজ্যিক বিভাগ : +8801868-173008, E-mail: dailyjobabdihi@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক জবাবদিহি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft