গাজীপুরে কাপাসিয়ায় কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে ভেঙেছে ৫টি মাটির ঘর, বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। শতাধিক গাছ ভেঙে পড়ে আছে মাটিতে।
গতকাল সোমবার (৬ মে) সকাল ৮ টায় উপজেলার খোদাদিয়া, বরুণ, তরগাও ও টোক নয়ন গ্রামে এ চিত্র দেখা গেছে।
উপজেলায় তরগাও গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ খান জানান, কাল বৈশাখী ঝড়ে তরগাও ইউনিয়নে তরগাও গ্রামের ইসলাম খানের ছেলে আজমত খানের একটি মাটির ঘর, তরগাও পূর্ব পাড়া মৃত বদর উদ্দিনের ছেলে ওমর সর্দার একটি মাটির ঘর, আ. রহমানের ছেলে কাশেম মিয়ার একটি মাটির ঘর, আবুল হোসেনের রান্না ঘর ভেঙে গেছে।
উপজেলার টোক নয়ন গ্রামের মৃত স্বপন মেম্বারের ছেলে সীমান্ত জানায়, আমাদের একটা মাটির বসত ঘর ছিলো। ভেঙে গেছে। পরিবার নিয়ে আকাশের নীচে বসে আছি।
তিলশুনিয়া গ্রামের জাকারিয়া জানান, বড় একটা কাঁঠাল গাছ ভেঙে পড়ে গেছে। তিনি বলেন, শতাধিক কাঁচা কাঁঠাল ছিলো গাছে। সব গুলো কাঁঠাল নষ্ট হইছে।
বরুণ গ্রামের আহসান মাস্টার বলেন, ৫ টি কাঠাল গাছ ছিলো। গত রাতে ঝড়ে ভেঙে গেছে। আমার এই এলাকায় শতাধিক আকাশি গাছ, কাঁঠাল গাছ ও কলা বাগান ভেঙে পড়ে গেছে।
খোদাদিয়া গ্রামের শেফালী বেগমকে ভেঙে যাওয়া গাছ কেটে টেনে টেনে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
গাজীপুরের জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিস ও স্টেশন অফিসের ফায়ার ফাইটার রিয়াদ মিয়া জানান, ফায়ার ফাইটার রাজা মিয়ার নেতৃত্বে একটি টিম জয়দেবপুর কাপাসিয়া সড়ক থেকে গাছ সরানোর জন্য উদ্ধার কাজে যাচ্ছেন।
গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রুহুল আমিন জানান, কাল বৈশাখী ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আটটি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে। একটি ট্রান্সফর্মার পড়ে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম লুৎফর রহমান জানান, আমি কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করছি, মাটির ঘর, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ণয় করা হয়নি।