
অসত্য তথ্য প্রচার করার কারণে ম্যানুয়েল হ্যাবোইস এবং হ্যাভিয়ের মিগুয়েল নামের দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বার্সেলোনার কোচ জাভি হার্নান্দেজ।
মামলায় জাভি দাবি করেন, গত কয়েক সপ্তাহে বেশ কয়েকবার এই দুই সাংবাদিক তাদের নিজ নিজ মিডিয়ার মাধ্যমে তার সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে আসছে এবং গুজব ছড়াচ্ছে।
স্প্যানিশ মিডিয়া এল পায়েসের সাংবাদিক ম্যানুয়েল হ্যাবোইস। তিনি কয়েকদিন আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ন্যাপোলির বিপক্ষে বার্সার জয়ের পর এল লারগুয়েরো নামক রেডিও শো’তে বলেছেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ভাঁড়।’ একটি সংবাদ সম্মেলনে এই সমালোচনা নিয়ে কথাও বলেন জাভি। সেখানে নিজের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন।
জাভি বলেন, ‘আমি আমার খেলোয়াড়দের বলেছি শান্ত থাকতে। আমরা তো কেউ আর আজ মরে যাইনি। মিডিয়া বলছে যে, আমরা নাকি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ভাঁড় (বাফুন্স)। সাংবাদিকদের কাছ থেকে এটা অন্যায়মূলক একটি সমালোচনা। এটা কী খুব প্রয়োজন ছিল? আমরা কী সত্যিই ভাঁড়?
মিডিয়ার অপপ্রচার থেকে নিজের দলকে রক্ষা করতে গিয়ে খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন জাভি। ম্যানুয়েল হ্যাবোইস এল লারগুয়েরোতে দাবি করেন, জাভি নাকি তাকে একটি নিবন্ধের জন্য ব্যক্তিগতভাবে তিরস্কার করেছিলেন। তিনি জানান, জাভি তাকে খুবই বৈরিতামূলক এবং অপমানজনকভাবে মেসেজ পাঠিয়েছিলেন।
এল লারগুয়েরেতোতে হ্যাবোইস আরো বলেন, ‘ওটা ছিলেন (মেসেজ পাঠানো ব্যক্তি) জাভি। কিন্তু আমি এখানে এটা বলতে চাচ্ছি না, কারণ সেটা ব্যক্তিগত। এটা ছিল একটা ছুঁড়ে দেয়া বার্তা। যেটা বেশ নোংরা লেগেছিল আমার কাছে। তিনি যেহেতু সবার সামনে বলেননি, আমিও তাই প্রকাশ করিনি।’
যদিও এরপরপরই এল পায়েসে প্রকাশিত আরেকটি নিবন্ধে হ্যাবোইস এ বিষয়ে নিজের ব্যাখ্যা তুলে ধরেছেন। কিন্তু সেটা জাভিকে মোটেও সন্তুষ্ট করতে পারেনি। কারণ, তিনি মিথ্যা তথ্য প্রচারের দায়ে ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
বার্সেলোনা ক্লাব কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে, জাভি কোনোভাবেই সাংবাদিক ম্যানুয়েল হ্যাবোইসের সাথে যোগাযোগ করেননি। এ কারণেই মূলত হ্যাবোইসের দাবি সত্য কি না সে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। জাভির প্রতিনিধি এটাও নিশ্চিত করেছেন যে, বার্সা কোচের কাছে হ্যাবোইসের কোনো যোগাযোগের তথ্য (ফোন নাম্বার কিংবা ঠিকানা) পর্যন্ত নেই।
একই সঙ্গে জাভি আরেক সাংবাদিক, যিনি বিভিন্ন মিডিয়ায় লিখে থাকেন, হ্যাভিয়ের মিগুয়েলের বিপক্ষে মামলা করেছেন। কারণ, মিগুয়েল কয়েকটি মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন যে, জাভি তার কোর কোচিং স্টাফদের সঙ্গে খুবই বাজে ব্যবহার করেন। টেবিলের ওপর তাদের সেলফোন ছুঁড়ে মারার তথ্যও ফাঁস করেন মিগুয়েল।
জাভি এই সংবাদকে পুরোপুরি অস্বীকার করেন। জানিয়ে দেন, এটাও সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য তার নামে ছড়ানো হয়েছে। এ কারণেই মূলত মিগুয়েলের বিপক্ষেও তিনি আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন।
জাভির এই আইনি পদক্ষেপ নেয়ার অর্থ হলো, তাকে ঘিরে বেশ কিছুদিন ধরে যে স্প্যানিশ মিডিয়ায় নেতিবাচক সংবাদগুলো প্রচার হচ্ছিলো, সেগুলোর বিপক্ষে শক্ত অবস্থান নেয়া। বার্সেলোনা ক্লাব কর্তৃপক্ষও নিশ্চিত করেছে যে, এ লড়াইয়ে তারা জাভির পাশে রয়েছে।