শুক্রবার ২৫ অক্টোবর ২০২৪ ৮ কার্তিক ১৪৩১
 

জানা গেলো শেখ হাসিনার অবস্থান    এ বছর সরকারি অর্থে কেউ হজে যাবে না    ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০২৯    দক্ষিণ কোরিয়ায় ইসরায়েলি দূতাবাসে হামলা    ডিবি হারুন ও তার স্ত্রীসহ ১২ জনকে দুদকে তলব    সচিবালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ, ২৬ শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার     ঢাকা থেকে ৫ রুটের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা   
মস্কো হামলায় প্রশ্নের মুখে রুশ গোয়েন্দা সংস্থা
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০২৪, ১:৫০ অপরাহ্ন

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরোধীদের আটকে রাখার ক্ষেত্রে নির্মমভাবে সফলতার পরিচয় দিয়েছে রাশিয়ার নিরাপত্তা সংস্থা। তবে মস্কোর কাছে একটি কনসার্টে বন্দুক হামলা ও বিস্ফোরণের ঘটনায় বোকা বনে গেছেন গোয়েন্দারা। 

দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার অগ্রাধিকার, সম্পদ এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। 

সোভিয়েত যুগের কেজিবির প্রধান উত্তরাধিকারী সংস্থা এফএসবি। সংস্থাটির ঝুলি ভর্তি এখন শুধু রাশিয়ার অভ্যন্তরে ইউক্রেনীয় নাশকতাকারীদের শিকার করা, ক্রেমলিন-বিরোধী কর্মীদের আটকে রাখা এবং বিরোধী বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কার্যক্রম ব্যাহত করার অভিযোগ।

এ নিয়ে সাবেক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা এবং পশ্চিমা নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি স্পষ্টতই ব্যাখ্যা করা যায় কেন এফএসবি ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী (আইএস) এর দেওয়া অন্যান্য হুমকিগুলোকে উপেক্ষা করতে পারে, যে গোষ্ঠীটি কি-না কনসার্টে হামলার দায় পর্যন্ত স্বীকার করেছে৷

এফএসবি বলেছে, শুক্রবারের কনসার্ট হলে হামলা ‘পরিকল্পিতভাবে’ করা হয়েছিল এবং বন্দুকধারীরা অতি সাবধানে তাদের অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছিল।

সোমবার পুতিন বলেছিলেন, কট্টরপন্থি ইসলামপন্থিরাই এই হামলা চালিয়েছে। তিনি আরও বলেছিলেন, তবে রাশিয়া এখনও বুঝতে চায় এ ঘটনার নেপথ্যে কে ছিল এবং ইউক্রেনের কাছে উত্তর দেওয়ার জন্য অনেক প্রশ্ন রয়েছে।

কনসার্টে হামলার ঘটনাটি একটি গোয়েন্দা পরিষেবার ব্যর্থতার প্রতিনিধিত্ব করে কি-না তা জিজ্ঞেস করা হলে সোমবার রাশিয়া বলেছিল, পশ্চিমের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের স্থবিরতার মানে গোয়েন্দা তথ্যের আদান-প্রদান আগের পদ্ধতিতে আর হচ্ছে না।

রাশিয়ার মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত বিশ্ব আমাদের এমনটিই দেখায় যে, কোনও শহর, কোনও দেশই সন্ত্রাসবাদের হুমকি থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত নয়।’ এসময় তিনি আরও বলেন, ‘রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা দেশকে রক্ষার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।’

তবুও শুক্রবারের ওই বন্দুক হামলা ও বিস্ফোরণের ঘটনা রাশিয়ার জনগণের কাছে পুতিনের দেওয়া স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দীর্ঘস্থায়ী প্রতিশ্রুতি ক্ষুণ্ন করেছে। ওইদিনের হামলায় কমপক্ষে ১৩৯ জন নিহত এবং আরও ১৮০ জন আহত হয়েছেন।

রাশিয়ার রাজধানী কিয়েভে মাঝে মাঝেই ড্রোন করে ইউক্রেন বাহিনী। শহরটির কিছু বাসিন্দা যারা ইউক্রেন যুদ্ধের সহিংসতা থেকে অনেকাংশেই দূরে ছিলেন, শুক্রবারের হামলার ঘটনা তাদেরকেও বেশ নাড়া দিয়েছে।

চলতি মাসের শুরুতে রাশিয়ার ক্ষমতায় মেয়াদ আরও ছয় বছর নিশ্চিত করেছেন সাবেক কেজিবি অফিসার পুতিন। এর আগেও তিনি একই ধরনের সংকট মোকাবেলা করেছেন। তবে এখন ক্ষমতায় দখলের লড়াইয়ের জন্য তার জন্য দৃশ্যমান কোনও হুমকি নেই।

এই হামলার সঙ্গে জড়িত ১১ জনের মধ্যে চারজনকে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদেরকে আদালতেও হাজির করা হয়। প্রকাশিত ছবিতে তাদের একজনকে একটি কানে ব্যান্ডেজ এবং আরও একজনকে হুইলচেয়ারে বসে থাকতে দেখা যায়। তাদের নির্যাতন করা হয়েছে কি-না সে বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেন পেসকভ।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. আক্তার হোসেন রিন্টু
বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ : প্রকাশক কর্তৃক ৮২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক (৩য় তলা) ওয়্যারলেস মোড়, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
বার্তা বিভাগ : +8802-58316172. বাণিজ্যিক বিভাগ : +8801868-173008, E-mail: dailyjobabdihi@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক জবাবদিহি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft