প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৬:১১ অপরাহ্ন
সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে বকশীগঞ্জে এক কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচীটি যশোরের বেনাপোল উপজেলায় গিয়ে শেষ হবে।
তারই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার বিকালের দিকে হানিফ বাংলাদেশির নেতৃত্বে জামালপুরের বকশীগঞ্জ এসেছে লাশ প্রতিকী মিছিলটি। এই মিছিল বাংলাদেশের সাথে ভারত ও মিয়ানমার সীমান্ত আছে এমন সব জেলা ও উপজেলা প্রদক্ষিণ করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তারা।
কর্মসূচী সম্পর্কে হানিফ বাংলাদেশি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমার বাংলাদেশের উপর কর্তৃত্যপরায়ণ আচরণ করে আসছে। ভারত মাঝে মধ্যেই সীমান্তে নিরীহ মানুষকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করছে। কিছুদিন আগেও বাংলাদেশের একজন বিজিবি সদস্যকে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, গত ৪ মাসে ভারত সীমান্তে ২১ জন বাংলাদেশি বিএসএফ এর গুলিতে নিহত হয়েছে। আরেক প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার তাদের ১০ লাখ রোহিঙ্গাদের বাস্তুচ্যুত করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের ছোড়া মটারসেলে দুজন বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছে। সীমান্ত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে আমি প্রতীকী লাশ কাঁধে নিয়ে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম পদযাত্রা করেছি।
হানিফ বাংলাদেশি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সব সময় প্রতিবেশী ও বন্ধু দেশগুলোর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চায়। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ দুটি ভারত ও মিয়ানমার বাংলাদেশের সঙ্গে বরাবরের মতোই বৈরী আচরণ করে।
মো. হানিফ ওরফে হানিফ বাংলাদেশি নোয়াখালীর সুধারাম উপজেলার নিয়াজপুর ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে। তার সঙ্গে থাকা অপর চারজন হলেন- ঝালকাঠি জেলার রাজাপুরের মোহাম্মদ সৌরভ, চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর নুরুল আজিম, রংপুরের পীরগাছার আবু নাসিম ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের মো. আরিফ।
হানিফ বাংলাদেশি আরোও বলেন, এই কর্মসূচিতে আমরা দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। যেদিন যে জেলা উপজেলায় এই মিছিল যাবে সেখানে যেকোনো দল, সংগঠনকে আমাদের সাথে সংহতি জানানোর আহ্বান জানাচ্ছি।