প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৬:০৫ অপরাহ্ন
জিতলেই প্লে অফ নিশ্চিত হবে। এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে চট্টগ্রাম।
সেঞ্চুরি থেকে এক রান দূরে থাকতে জেসন হোল্ডারের বলটা একটু সাবধানী হয়েই খেলেন তানজিদ তামিম। রান নিতে গিয়েও থমকে যান। পরের বলেই তুলে নেন বিপিএলে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি। সবধরণের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটি এই তরুণের প্রথম শতক। সবমিলিয়ে বিপিএলের ইতিহাসে বাংলাদেশিদের মাঝে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোরও এটি।
তামিমের সেঞ্চুরিটি বিপিএলের ৫ম সর্বোচ্চ স্কোর। সমান ১১৬ রানের ইনিংস রয়েছে আরও দুজনের। তারা হলেন দুই ক্যারিবিয়ান তারকা ক্রিস গেইল এবং লেন্ডন সিমন্স।
বিপিএলের ১০ আসরে এটি দেশীয়দের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। যেখানে সবার ওপরে সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের অপরাজিত ১৪১ রানের ইনিংস। এরপরেই রয়েছে আরেক টাইগার ক্রিকেটার সাব্বির রহমানের ১২২ রান।
তামিমের সেঞ্চুরিটি চলতি বিপিএলে সর্বোচ্চ স্কোর। ছাড়িয়ে গিয়েছেন উইল জ্যাকস এবং তাওহিদ হৃদয়ের ১০৮ রানের ইনিংসকে।
এছাড়াও বিপিএলে চট্টগ্রামের মাঠে এটিই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর।
ইনিংসের শুরু থেকেই এদিন বিধ্বংসী ছিলেন চট্টগ্রাম ওপেনার। ৭ চার আর ৭ ছয়ে ৫৮ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান। বিপিএলের চলতি আসরে এটি তৃতীয় আর দেশীয়দের মধ্যে এটি দ্বিতীয় শতক। সেঞ্চুরি করেই থামেননি তামিমের ব্যাট। নিজের ইনিংসকে টেনে নিয়েছেন ১১৬ পর্যন্ত। এবারের বিপিএলে এটাই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
ডু অর ডাই ম্যাচে চট্টগ্রাম অধিনায়ক টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। এদিন চট্টগ্রামের জার্সিতে ডেব্যু হয় আরব আমিরাতের বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ ওয়াসিমের। কিন্তু তিনি অভিষেকটা রাঙাতে ব্যর্থ হন। এরপরেই দলের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন বগুড়ার এই ক্রিকেটার। ওয়েইন পার্নেরের বলে বোল্ড হয়ে বিদায় নেয়ার আগে ৬৫ বলে ৮ ছক্কা আর ৮ চার দিয়ে নিজের ১১৬ রানের ইনিংসটি সাজান তিনি।
তানজিদ যখন আউট হন ততক্ষণে চট্টগ্রামের স্কোরবোর্ডে রান ১৭০। এদিন তামিমের আগ্রাসন থেকে রেহাই পায়নি কেউই। অনেক চেষ্টা করেও তাকে আটকানোর রাস্তা পায়নি খুলনার বোলাররা। প্রথম ১০ বলে ১০ রান করা তামিম সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছেন প্রতিপক্ষ বোলারদের ওপর। তামিমের ঝড়ের মুখে সবচেয়ে বেশি পড়েছেন খুলনার বোলার মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ এবং আরিফ আহমেদ।