প্রকাশ: সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১:৫০ অপরাহ্ন
ভোলায় ২ মাস ধরে নিউমোনিয়া ও পোলিও টিকা সহ বিভিন্ন রোগের ভ্যাকসিন সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে করে প্রতিদিনই অভিভাবকরা তাদের শিশুদের নিয়ে টিকা কেন্দ্রে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছে। নির্দিষ্ট সময় টিকা দিতে না পেরে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। যা নিয়ে ক্ষোভ ঝড়ছে তাদের কন্ঠে।
টিকার জন্য ঢাকায় চাহিদা পত্র পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ।
টিকা নিতে আশা অভিভাবক মিজি বাড়ি থেকে আসা নাহিদা লায়লা নাসরিন, ফাতেমা জানান, শিশুর টিকার জন্য এক কেন্দ্র থেকে আরেক কেন্দ্র ছুটছেন সন্তানের বাবা-মা। এরপরও মিলছে না টিকা। তাই ফিরতে হচ্ছে হতাশ হয়েই। দুই মাস ধরে ভোলায় ২ মাস ধরে নিউমোনিয়া ও পোলিও টিকাসহ বিভিন্ন রোগের ভ্যাকসিন সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তাই নির্দিষ্ট তারিখে শিশুদের টিকা নিতে এসে নাপেয়ে ফিরে যাচ্ছে অভিভাবকরা। ইউনিয়নের টিকা কেন্দ্রে থেকে শুরু করে সরকারি হাসপাতাল মিলছে না এই টিকা।
আকলিমা বেগম বলেন, আমার মেয়ের ৩টি টিকা দেওয়া হয়েচে। ৪র্থ ধাপের টিকার জন্য স্থানীয় স্যাটেলাইট ক্লিনিকে গেলেও টিকা মেলেনি। পরে হাসপাতাল এসেছি। সেখানেও নেই। এতে করে আমরা খুব চিন্তার মধ্যে আছি। সঠিক সময়ে যদি টিকা না দিতে পারি তাহলে দুচিন্তার শেষ নেই। ফলে শিশুদের সময় অনুযায়ী টিকা গুলো দেওয়া যাচ্ছে না। এতে দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে অভিভাবকরা। তাই দ্রুত টিকার ব্যবস্থা করার দাবি অভিভাবকদের।
স্বাস্থ্য সহকারী জান্নাতুল নাঈম ও মোঃ হোসেন জানান, শিশুদের পিসিভি, আইপিভি, পেন্টাভ্যালেন্ট এই তিনটি ভ্যাকসিন না থাকায় শিশুদের নিয়মিত টিকা দিতে পারছেনা। এতে করে টিকা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মনিরুজ্জামান আহমেদ জানান, টিকার জন্যে আমরা চাহিদা পাঠিয়েছি। যেন দ্রুত টিকা আসে। তবে টিকা দিতে কিছুটা বিলম্ব হলেও তা শিশু স্বাস্থ্যের উপর কোনো বিরুপ প্রভাব পড়বে না বলে জানান।
উল্লেখ্য, ভোলা জেলায় এক বছরে ৬৪ হাজার শিশুকে প্রতিটি টিকা দিয়ে হয়। জেলার ৬৭টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে ২৪টি টিকা কেন্দ্রে মাসে একবার করে টিকা দেওয়া হয়।
এছাড়াও রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকসে ও জেলা সদর হাসপাতালে ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন টিকা দেওয়া হয়। বর্তমানে ১০টি রোগের টিকার মধ্যে কেবল ৩টি টিকা মজুদ রয়েছে।