বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ২ মাঘ ১৪৩১
 

বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম পরিবর্তনে সুপারিশ    ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম    পুতুলকে ‘হু’ থেকে অপসারণে গণস্বাক্ষর, ব্যাপক সাড়া    ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মতিউর ৩ দিনের রিমান্ডে    ৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে আবারও ভোটগ্রহণ: সংস্কার কমিশন    এনসিটিবি'র সামনে দু পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২৭    ৬ কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়বে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা   
বাংলাদেশের উচিত মামলা করা: টাঙ্গাইল শাড়ির প্রসঙ্গে সিপিডি
প্রকাশ: শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৮:১১ অপরাহ্ন

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, অর্ধসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের ওপর ভারত টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই করেছে। বাংলাদেশের উচিত তিন মাসের মধ্যে সেখানকার আদালতে গিয়ে মামলা করা।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডির কার্যালয়ে ‘টাঙ্গাইল শাড়িকে পশ্চিমবঙ্গের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি : প্রক্রিয়া, পরিস্থিতি ও বাংলাদেশের করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজেদের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিতে গিয়ে ভারতে অর্ধসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের আশ্রয় নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের উচিত দ্রুত এ বিষয়ে সেখানকার আদালতে মামলা করা। ভারতের নিজস্ব জিআই আইনে সেই মামলা করার সুযোগ আছে।’

ভারতে টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই আবেদনের নানা অসংগতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সেখানে বলা হয়েছে, দেশভাগের সময় টাঙ্গাইল থেকে হিন্দুদের তন্তুবায় সম্প্রদায় দেশত্যাগ করে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় যায়। তারাই এই শাড়ি বানানোর সঙ্গে জড়িত। বাস্তবে টাঙ্গাইল অঞ্চলে দীর্ঘসময় ধরে শুধু হিন্দু নয়, মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেকে এই শাড়ি তৈরি করে। আর বাস্তবে হিন্দুদের চেয়ে এই শাড়ি উৎপাদনের সঙ্গে মুসলিমরাই বেশি জড়িত।’

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘কোনো পণ্যের জিআই স্বীকৃতির জন্য তার ভৌগোলিক উৎস, মান এবং সুরক্ষার বিষয় জড়িত। টাঙ্গাইল শাড়ি তৈরির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের অনেকেই দেশ বিভাগের সময় পশ্চিমবঙ্গ চলে গেছেন। কিন্তু এই শাড়ির ভৌগোলিক পরিচয় তো তাতে পাল্টে যেতে পারে না। ভারতে এই শাড়িকে জিআই করতে গিয়ে প্রতারণামূলক তথ্যের ওপর আশ্রয় নেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ভারতের জিআই আইন অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে আপত্তি থাকলে তা করতে হবে। এখন বাংলাদেশের উচিত ভারতের আদালতে গিয়ে মামলা করা এবং সেটা তিন মাসের মধ্যে করতে হবে। ভারত যেসব যুক্তিতে টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই করেছে, সেগুলো তথ্যনির্ভর নয়। সেগুলো ধোপে টিকবে না। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাল্লাই ভারী। কিন্তু সেটাকে কাজে লাগাতে হবে।’

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. আক্তার হোসেন রিন্টু
বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ : প্রকাশক কর্তৃক ৮২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক (৩য় তলা) ওয়্যারলেস মোড়, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
বার্তা বিভাগ : +8802-58316172. বাণিজ্যিক বিভাগ : +8801868-173008, E-mail: jobabdihimedia@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক জবাবদিহি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft