প্রকাশ: শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৪:৪২ অপরাহ্ন
ব্যক্তিশ্রেণির আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার সময় শেষ হয়েছে গত ৩১ জানুয়ারি। তবে এখনও রিটার্ন জমা দিতে পারবেন করদাতারা। কিন্তু এক্ষেত্রে কর রেয়াত পাবেন না তারা। অধিকন্তু গুণতে হবে জরিমানা।
নতুন আয়কর আইন অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের পর রিটার্ন জমা দিলে যাতায়াত, চিকিৎসা, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ভাতার ওপর কর ধার্য হবে। পাশাপাশি সবধরনের কর সুবিধা বাতিল হবে। তাতে বেশি বিপাকে পড়বেন বেসরকারি চাকরিজীবী করদাতারা।
একজন কর্মজীবী বেসিক বেতনের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ভাতা পান। নতুন আইনে এসব থেকে পাওয়া অর্থের মধ্যে সাড়ে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত থাকবে। এছাড়া বার্ষিক মোট আয়ের দুই-তৃতীয়াংশের মধ্যে যেটি কম, তাও এর আওতায় পড়বে। তবে এখন রিটার্ন দিতে গেলে এ সুবিধা পাওয়া যাবে না।
কর হ্রাসের অন্যতম পন্থা নির্দিষ্ট খাতে বিনিয়োগ করা। যেমন- সঞ্চয়পত্র, শেয়ারবাজার, বন্ডে টাকা খাটানো। এক্ষেত্রে কর রেয়াত পাওয়া যায়। কিন্তু এখন রিটার্ন জমা দিলে তা নেয়া যাবে না।
তাছাড়া প্রবাসী অর্থ দিলে কিংবা বিদেশ থেকে এলে তা করমুক্ত থাকে। কিন্তু নির্ধারিত তারিখের মধ্যে রিটার্ন জমা না দেয়ায় এখন সেই সুযোগ পাওয়া যাবে না।
নতুন আয়কর আইন অনুযায়ী, কর দিবস-পরবর্তী যেকোনো সময় রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন করদাতা। এক্ষেত্রে তার মোট করের ওপর জরিমানা আরোপ করা হতে পারে। ১০ শতাংশ হারে তা করার ক্ষমতা আছে উপ-কর কমিশনারের। যার সর্বনিম্ন পরিমাণ ১০০০ টাকা। আবার রিটার্ন জমা দিচ্ছেন, কিন্তু আরোপযোগ্য হয়নি, এমন করদাতাদের সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা যাবে।
দেশে বর্তমানে প্রায় ৯৯ লাখ কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) আছেন। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৫ লাখ ৪০ হাজার ৪০৬ জন রিটার্ন জমা দিয়েছেন। ২০২৩ সালের চেয়ে যা প্রায় ৫ লাখ বেশি। চলতি বছর রিটার্ন বাবদ কর আদায় হয়েছে ৫ হাজার ৭৯৯ কোটি টাকা।