প্রকাশ: শনিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৪:৩৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: শনিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৫:০১ অপরাহ্ন
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতার পরই বেতন-ভাতাসহ বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সে সময়ে আর্থিক সংকটের কারণে সেই দাবি পূরণ করতে পারেনি বলে জানায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। অবশেষে সাবিনা-সানজিদাদের সেই দাবি পূরণও হয়।
গত ১৬ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন করে দেশের ৩১ জন নারী ফুটবলারদের সঙ্গে নতুন করে ছয় মাসের চুক্তিপত্র করে বাফুফে। নতুন এই চুক্তিতে তাদের বেতন-ভাতা দ্বিগুণেরও বেশি করা হয়; যা ছয় মাস পর নবায়ন করার কথা জানানো হয়। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ মাসের এই চুক্তি কার্যকর হয়েছে। তবে বর্তমানে ডিসেম্বর গড়ালেও তিন মাসের মধ্যে মাত্র এক মাসের বেতন পেয়েছেন সাবিনারা। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর টানা ২ মাস বেতন পাননি নারী ফুটবলাররা।
জানা গেছে, সেপ্টেম্বর মাসের বেতন নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি এসে দিয়েছে বাফুফে। তবে এখনও হয়নি অক্টোবরের বেতন। বেতন বকেয়া পড়ার বিষয়ে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষারের দাবি, বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে আমাদের ফিফার কিছু আনু্ষ্ঠানিকতার অনুমোদনের প্রয়োজন ছিল। ফিফার নির্দেশনা অনুসরণের আনুষ্ঠানিকতা মানতে গিয়ে বেতন প্রদানে বিলম্ব হয়েছে। এদিকে ফেডারেশন সূত্র বলছে, ফিফার আনুষ্ঠানিকতা এখন অনেকটাই সম্পন্ন। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে অক্টোবরের এবং ডিসেম্বরের মধ্যে নভেম্বরের বেতন দেয়ার পরিকল্পনা করছে ফেডারেশন।
উল্লেখ্য, জাতীয় দলের ৩১ ক্রিকেটারকে ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘সি’ এই তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছে বাফুফে। আর বেতন বৃদ্ধির প্রক্রিয়াটি হবে ক্যাটাগরিভিত্তিক। ক্যাটাগরি অনুযায়ী সর্বনিম্ন ২০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার পর্যন্ত বেতন পাবেন ফুটবলাররা।এর আগে, ফুটবলারদের বেতন ছিল সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা। যা পেতেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। বাকিরা পেতেন ১০ হাজার টাকা করে।তবে সাফের শিরোপা জয়ের পর নানান আন্দোলন শেষে সাবিনাসহ ১৫ ফুটবলারকে মাসে ৫০ হাজার, ১০ জনের ৩০ হাজার, বাকি ৬ ফুটবলারের ৪ জন ২০ এবং দুই জনের ১৮ হাজার টাকা বরাদ্দ করে ফেডারেশন।