প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৩, ৫:৫০ অপরাহ্ন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলার রায় পেছোনো হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ মঞ্জুরুল ইমামে আদালতে এ রায় ঘোষণা করার কথা ছিল।
রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক ও শুনানি শেষে গত ২২ নভেম্বর বিচারক রায় ঘোষণার জন্য এ দিন নির্ধারণ করেছিলেন। কিন্তু রায় প্রস্তুত না হওয়ায় আদালত আগামী ১২ ডিসেম্বর রায় ঘোষণার নতুন তারিখ দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন আদালতের পেশকার জাহিদুল ইসলাম।
আদালতে মির্জা আব্বাসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম, মহিউদ্দিন চৌধুরী ও শাহীনূর ইসলাম অনি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
আয়ের সঙ্গে ‘অসঙ্গতিপূর্ণ’ ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদের মালিক হওয়া এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ অগাস্ট দুর্নীতি দমন কমিশন -দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম ঢাকার রমনা থানায় এ মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
সেখানে আব্বাসের বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ১৬ জুন মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক। এ মামলায় গত ৩১ অক্টোবর মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে ২৮ অক্টোবর পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর শাহজাহানপুর থানার একটি নাশকতার মামলায় মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই মামলায় রিমান্ডের পর দুদকের এ মামলাতেও গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাকে।