চলতি বছরের নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বুধবার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান তুহিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, প্রথম ধাপে বরিশাল, রংপুর, সিলেট বিভাগের পরীক্ষা হতে পারে। এজন্য মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, দীর্ঘ দিন থেকেই বুয়েটের কারিগরি সহায়তা নিয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হতো। কারিগরি সহায়তা এবং উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য বুয়েট কর্তৃপক্ষকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেওয়া হতো।
এবারও বুয়েটের মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়ার কথা। কিন্তু বুয়েটের মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়ায় বাড়তি খরচে আপত্তি তোলে অর্থ মন্ত্রণালয়। পরে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব অর্থ সচিবের সঙ্গে দেখা করে যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। এতে জটিলতা কেটে যায়।
মন্ত্রণালয় জানায়, বুয়েটের মাধ্যমে পরীক্ষা নিলে প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি থাকে না। এছাড়া দ্রুত সময়ে পরীক্ষা নিয়ে নির্ভুলভাবে ফলাফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে। পরবর্তীতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সক্ষমতা তৈরি হলে অধিদপ্তরের অধীনে পরীক্ষা নেওয়া হবে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রংপুর, সিলেট এবং বরিশাল বিভাগের ক্লাস্টারের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অধিদপ্তর। এরপর ২২ মার্চ রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর ১৭ জুন ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
প্রথম ধাপে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৪৩৮ জন এবং তৃতীয় ধাপে ৩ লাখ ৪০ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন। বর্তমানে প্রায় ৮ হাজারের বেশি পদ শূন্য রয়েছে।
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জট কমাতে বিভাগগুলোকে ক্লাস্টারে ভাগ করে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় চার লাখ চার হাজার সহকারী শিক্ষক রয়েছে। প্রতিবছর প্রায় ছয় হাজারের কাছাকাছি শিক্ষক অবসরে যান।
২০২০ সালের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ২০২২ সালে ৩৭ হাজার ৫৭৪ জনকে নিয়োগ দিতে দুই বছর সময় লেগেছে। ক্লাস্টার বা বিভাগ ভিত্তিক নিয়োগ দিতে পারলে ছয় মাসের মধ্যে নিয়োগ দেওয়া যাবে বলে মনে করছে মন্ত্রণালয়।