প্রকাশ: বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৩, ২:১২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৩, ৩:০৭ অপরাহ্ন
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) চান্দগাঁও থানায় পুলিশ হেফাজতে সৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লা (৬৭) নামে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অবসরপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দিনগত রাত ১২টার দিকে চান্দগাঁও থানায় এ ঘটনা ঘটে। তবে, পরিবারের অভিযোগ- শহীদুল্লাকে গ্রেফতার করে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গেছে সাদা পোশাকের পুলিশ। তিনি অসুস্থ ছিলেন। তাকে ওষুধ দিতে দেওয়া হয়নি। চিকিৎসা নিতে না দিয়ে পুলিশ তাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের। নিহত শহীদুল্লা দুদক সাবেক উপপরিচালক ছিলেন।
নিহত শহীদুল্লার ছেলে নাফিজ শহীদ আজ বুধবার সকালে বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিভিল ড্রেসের দুইজন পুলিশ পরিচয়ে বাবাকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায়। এসময় আমরা ওয়ারেন্ট দেখতে চাইলে তারা দেখাতে পারেনি। পুলিশ যখন বাবাকে বাসা থেকে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন আমার চাচারাও পেছনে পেছনে গিয়েছেন। চাচারা যখন থানায় যান, তখন থানার কলাবসিবল গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এসময় বাবার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। বাবা নিয়মিত ইনহেলার নিতেন। বাইরে থেকে চাচারা ওষুধ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ ওষুধ দিতে দেয়নি। পরে বাবা যখন মারা গেছেন, তখন অসুস্থ বলে পুলিশ বাবাকে হাসপাতালে নেয়।
নাফিজ অভিযোগ করে বলেন, জমি নিয়ে কিছু লোকের সঙ্গে আমাদের মামলা চলছিল। তারা বেশ প্রভাবশালী। মামলা নিয়ে সবসময় টাকা-পয়সা খরচ করেন তারা।
এ ব্যাপারে সিএমপির উপ-কমিশনার (উত্তর) মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, এসএম শহীদুল্লার বিরুদ্ধে একটি সিআর মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। চান্দগাঁও থানার একটি টিম তাকে গতরাতে পরোয়ানামূলে গ্রেফতার করে। ওই সময় ওসি থানায় ছিলেন না। এসএম শহীদুল্লাকে থানায় আনার পর ওসি জানতে পারেন। তখন ওসি নির্দেশ দেন, ‘উনি সম্মানিত লোক, তাকে আমার (ওসি) রুমে বসাও’।
এ উপ-কমিশনার বলেন, শহীদুল্লা সাহেবের ওপেন হার্ট সার্জারি ছিল। তিনি ডায়াবেটিস ও শ্বাসকষ্টের রোগী ছিল। ওসির রুমে বসানোর পর তিনি অসুস্থবোধ করেন। তখন তার পকেটে থাকা স্প্রে দিয়ে তাকে স্প্রে দেওয়া হয়।
এসময় তার পরিবারের লোকজনও উপস্থিত ছিলেন। তারপরেও তিনি সুস্থবোধ না করায় অ্যাম্বুলেন্স খবর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হওয়ায় ওনার পরিবারের লোকজন সহকারে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
তবে, এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চান্দগাঁও থানার ওসি মো. খাইরুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সূত্র: জাগো নিউজ