প্রকাশ: সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৭:২১ অপরাহ্ন

মাঝপথে থমকে গেছে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নের যাত্রা; ছিটকে পড়েছে মূল লক্ষ্য থেকে। খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বিশ্বের আড়াই বিলিয়ন মানুষ। অর্থাৎ ২৫০ কোটি মানুষ। মোট জনসংখ্যার যা প্রায় ৩০ শতাংশ।
গত শুক্রবার জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন চিত্র। এতে টেকসই উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হুমকিতে পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা-২০৩০ এর দ্বিতীয় প্রধান লক্ষ্য ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলা। কিন্তু অনেকটাই মন্থর গতিতে এগোচ্ছে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি। কমার বদলে বেড়েছে বিশ্বজুড়ে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা।
২০১৫ সালে বিশ্বের ১ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন জনসংখ্যা খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল। ২০২২ সালে এসে তা দাঁড়ায় ২ দশমিক ৪ বিলিয়নে। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার যা প্রায় ২৯ দশমিক ৬ শতাংশ।
সবচেয়ে বেশি খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে আফ্রিকার দেশগুলো। খাদ্যাভাব নিয়ে তার পেছনেই ধুঁকছে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া। কারণ হিসেবে করোনা মহামারী, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতাকে দায়ী করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
কৃষি সম্পর্কিত লক্ষ্যগুলোর অগ্রগতিও খুবই কম বলে উল্লখ করা হয়েছে প্রতিদেনটিতে। ২০১৫ সালের কৃষি অভিযোজন সূচকের মান ছিল শূন্য দশমিক ৪। ২০২১ সাল নাগাদ তা এসে দাঁড়ায় শূন্য দশমিক ৩৭ এ।
মৎস্যসম্পদ সুরক্ষা, বন সংরক্ষণ এবং ভূমি ক্ষয় প্রতিরোধে অনেকটা উদাসীন হয়ে পড়েছেন বিশ্ব নেতারা। খাদ্য অপচয় রোধেও উল্লেখযোগ্য কোনও ব্যবস্থা না নেয়ায় ২০১৬ সাল থেকেই তা আটকে আছে মাত্র ১৩ শতাংশে।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৫ সালের চেয়ে বিশ্বের সাড়ে ৭৪ লাখ বেশি মানুষ মধ্যম থেকে গুরুতর খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সময়োপযোগী পদক্ষেপ না নিলে তা বহুগুণ ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।