প্রকাশ: শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৮:২৫ অপরাহ্ন

পিরোজপুরের সুস্বাদু আমড়ার খ্যাতি রয়েছে দেশজুড়ে। বর্ষা মৌসুমের এই ফলটি স্থানীয় বহু মানুষের আয়ের অন্যতম উৎস। এ জেলার উৎপাদিত আমড়া শুধু ঢাকা নয় দেশের প্রায় সব জেলায় সরবরাহ করা হয়। দিন দিন এর চাহিদা বেড়েই চলছে।
আমড়া ব্যবসায়ীরা বলছেন, পদ্মা সেতু চালুর ফলে রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়েছে। সেই সঙ্গে টাটকা ফলমূল ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পৌঁছে যাচ্ছে ঢাকাসহ বড় বড় শহরগুলোতে। আর এতে ভালো লাভবান হচ্ছেন আমড়াচাষি ও ব্যাপারীরা। দক্ষিণের জেলা পিরোজপুরের আবহাওয়া ও জলবায়ু আমড়া চাষের উপযোগী। ফলে আমড়ার উৎপাদনও হয় বেশ ভালো।
এখানকার আমড়া আকারে অনেকটা বড়, খেতেও বেশ সুস্বাদু। মান ভেদে প্রতিটি গাছের ফল বিক্রি হয় ৩ থেকে ৬ হাজার টাকায়। অন্যদিকে তেমন কোনো পরিচর্যা ও সার কীটনাশক ছাড়াই এর ফলন পাওয়া যায়। মৌসুমে বাজার ছাড়াও পথে পথে প্রচুর বিক্রি হয় আমড়া।
আমড়া অর্থকরী ফল হিসেবেও নিজের জায়গা করে নিয়েছে এই জেলায়। ফলে আমড়া চাষে কৃষকের আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলছে। বেড়ে গেছে চাষ ও উৎপাদন।
এদিকে গত বছর পদ্মা সেতু চালুর পর থেকেই বরিশাল অঞ্চলের কৃষিপণ্য সরবরাহে সহজলভ্যতা সৃষ্টি হয়েছে। খুব অল্প সময়ে টাটকা ফলমূল-সবজি পৌঁছে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। এতে ভালো লাভবান হচ্ছেন পিরোজপুরের ব্যবসায়ীরা।
জেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, পিরোজপুর জেলার সাতটি উপজেলায় পিরোজপুর সদর, কাউখালী, নেছারাবাদ, নাজিরপুর, ইন্দুরকানী, ভান্ডারিয়া ও মঠবাড়িয়ায় এ বছর ৫০৯ হেক্টর জমিতে আমড়ার উৎপাদন হয়েছে ১০ হাজার ৯১১ মে. টন। কৃষি অফিসের দাবি সামনের বছর আমড়ার ফলন আরও বেড়ে যাবে, সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।