প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ২:১৫ অপরাহ্ন

পটুয়াখালীর দুমকি সহ পার্শ্ববর্তী কয়েক উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আমন ক্ষেতে মাজরা পোকার আক্রমণে নষ্ট হয়ে গেছে রোপা আমন। কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
অনেক কৃষক দুঃশ্চিন্তায় দিন যাপন করছে। কীটনাশ ছিটিয়ে প্রতিকার না পেয়ে বালামুসিবৎ থেকে রক্ষায় আংগারিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ঝাটরা গ্রামের কৃষকরা আজ শুক্রবার জুমাবাদ ‘দোয়ায় ইউনূস’র আয়োজন করেছে। যাতে দোয়ার উসিলায় ফসলের পোকা উৎথাত হয়। মাথাপিছু ২৫০ গ্রাম চাল বা সমপরিমান টাকা তুলে মাদ্রাসা ছাত্রদের দিয়ে মসজিদে এ দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় উঁচু জমিতে কৃষকদের বপনকৃত আমনের বীজ মাজরা পোকা ও পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমণে নষ্ট হয়ে গেছে। কোন কোন ক্ষেত নতুন আক্রান্ত হয়েছে। দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া, সন্তোষদী, কার্তিকপাশা, শ্রীরামপুর, পাঙ্গাশিয়া, আঙ্গারিয়া, লেবুখালী, আঠারোগাছিয়া এলাকায় আগাম রোপণকৃত আমনের ক্ষেতে মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে।
আংগারিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ঝাটরা গ্রামের কৃষক খলিল আকন, মজিদ মাষ্টার, জাহাঙ্গীর ও মন্নান ফরাজি বলেন, আমাদের জমিতে মাজরা পোকার আক্রমণে আমন রোপা নষ্ট হয়ে গেছে। পুনরায় জমি চাষ করে আমনের বুনা বপন করব। উপজেলা কৃষি অফিস ডাল পোতা, আলোক ফাঁদ ও ভিরতাকো, ডাসবান ও বেল্টএক্সার্টসহ বিভিন্ন কীট নাশক ঔষধ প্রয়োগের জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন। ইতিমধ্যে কোন কোন এলাকায় কৃষকদের রোপা আমন ক্ষেতে গাছের ডাল পুঁতে ৫০-১০০ মিটার দূরত্বে পোকা নিধনের জন্য আলোক ফাঁদ বসানো হয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, কৃষকদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ, জমিতে ডাল পোঁতা (পার্চিং), আলোক ফাঁদ, লিফলেট বিতরণ ও জমির গুনাগুণ বিবেচনা করে বালাইনাশক ঔষধ প্রয়োগের জন্য পরামর্শ দিতেছি।