বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ১৪ চৈত্র ১৪৩০
 

জিম্মি জাহাজের মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা    মেসিকে নিয়ে দুঃসংবাদ আর্জেন্টিনার!     আইন মেনে হোটেল-রেস্তোরাঁয় অভিযান চালানোর নির্দেশ    ১০ রমজান পর্যন্ত খোলা থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়    রমজানে স্কুল বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ চেম্বারেও বহাল    বিএসএমএমইউর উপাচার্য পদে নিয়োগ পেলেন অধ্যাপক দীন মোহাম্মদ    বীরত্ব ও সাহসিকতায় পদক পেলেন ৪০ কোস্ট গার্ড সদস্য   
চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে মৌসুমি ফলের নজর কাড়ছে ক্রেতাদের
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৬ জুন, ২০২৩, ৬:৫৭ অপরাহ্ন

চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে এখন ফলের দোকানগুলোতে আম ও কাঠালের ছড়াছড়ি চলছে। অন্যান্য ফলের সাথে বিভিন্ন ধরনের আমের সাজানো- গোছানো উপস্থিতি আলাদা করে নজর কাড়ছে ক্রেতাদের। গ্রীষ্মকাল আসলে ফল বিক্রেতারা বিভিন্ন জায়গায় ফল নিয়ে বসে থাকে। এ ঋতুকে ফলের ঋতুও বলা হয়ে থাকে। গত এক-দেড় মাস বাজারজুড়ে ছিলো তরমুজ, আনারস, লিচুসহ নানা ফলের আধিপত্য। 

মঙ্গলবার (৬ জুন) বিকেলে শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন ফলের দোকানে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি আড়ত ও পাইকারি দোকানে স্থানীয় আম তো আছেই সাথে হাড়িভাঙ্গা, আম্রপালি, হিমসাগর, গোপালভোগ, লবনা, ল্যাঙড়া, মধুমতি, গুটি আমের আদিখ্যেতা একটু বেশি।

শ্রীমঙ্গল শহরের গদার বাজার, পোস্ট অফিস রোড, নতুন বাজার, হবিগঞ্জ রোড, ভানুগাছ রোড, স্টেশন রোডের ফুটপাতগুলোতে দেখা মিলছে শ্রীমঙ্গলের আনারস, জাম, দিনাজপুরের লিচু এবং আপেল, পেয়ারা নাশপাতি ইত্যাদি। শ্রীমঙ্গল উপজেলার বাজারগুলোতে এখন এসব ফলের সমাহার। লিচুর সময় এখন শেষের দিকে। পুরনো লিচু হওয়ায় গায়ে কালো আঁচর থাকে। এতে লিচু ক্রয়ে আগ্রহ হারাচ্ছেন ক্রেতারা। আনারসের দাম এখন চড়া হলেও রসে ভরা ফল ক্রয় করতে দেখা গেছে ক্রেতাদের। আঙ্গুর, কমলা, মাল্টা এবং আপেলে দাম বেশ চড়া। তাই বিত্তবান ছাড়া নিম্ন শ্রেণির মানুষ এসব ফলে হাত দিচ্ছেন না তাদের হাতের নাগালের বাইরে।

ফুলের মৌসুম আসলে, বোনের বাড়ি, মেয়ের বাড়ি ও আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের ফল নিয়ে যাওয়া এটি সিলেট বিভাগে প্রচলিত।

শ্রীমঙ্গল গুলবাগ এলাকার মোঃ দুলাল মিয়া নামের এক যুবক রাজনগর মুন্সিবাজার এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাবেন। তিনি শ্রীমঙ্গল চৌমুহনা থেকে ফল কিনতে গাড়ি থেকে নেমেছেন। তার সাথে কথা হয় তিনি বলেন, অনেক বেশি ফলের সমাহার আছে দোকানে। তবে লিচুগুলোর উপরে কালো দাগ পড়ে আছে, তাই লিচু কিনিনি। আপেল নিয়েছি। আম আছে। বেশ কয়েকটা দোকান দেখলাম সবগুলোতেই প্রায় ৭/৮ রকমের আম আছে। হিমসাগর, গোপালভোগ এবং ল্যাঙড়া আম কিনেছি। তবু দাম একটু বেশিই মনে হলো।

তিনি বলেন, পোস্ট অফিস রোডে যাচ্ছি কাঠাল ও আনারস কিনতে। পোস্ট অফিস রোডের ফল ব্যবসায়ী গুলবাগের মোঃ তারেক মিয়া (তরিক) বলেন, শ্রীমঙ্গলের বাজারে প্রচুর আম এসেছে। কিন্তু ক্রেতা কম। মানুষজন স্থানীয় আম, নিজের গাছের আম এখনো খাচ্ছেন। সপ্তাহ দশদিনের মাথায় এসব আম শেষ হয়ে গেলেই বাজারের দোকানের আমে নজর পড়বে ক্রেতাদের, তখন বিক্রি বাড়বে। লিচুও আছে আমার দোকানে। লিচুর শেষ সময়।

ফল ব্যবসায়ী মোঃ তারেক মিয়া (তরিক) তিনি আরও বলেন, উপরের আস্তরণে একটু দাগ এখন থাকবেই। তবে এ দাগ বাহিরে আছে ভেতরে নয়। কাঠাল এবং আনারসও আছে। আনারসের সিজন শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন বড় আনারসের হালি ২৫০-৩৫০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। বড় এবং মাঝারি সাইজের কাঠালের দাম প্রতি পিছ ১০০-৩৫০ টাকায় বিক্রি করছি। তবে ছোট কাঠাল ৩০ টাকায় বিক্রি করছি।

মেয়ের বাড়িতে যাবেন বলে আম কিনতে আসা বাবুল মিয়া বলেন, আমি ১ কেজি হিম সাগর আম কিনছি ১৩০ টাকা দিয়ে। ২ কেজি ল্যাঙড়া আম কিনছি ১৩০ টাকা দিয়ে। তিনি বলেন বাজারে ফরামালিন আমে ভরা।

হবিগঞ্জ রোডের মোঃ মতিন মিয়া নামের এক মৌসুমি ব্যবসায়িকে শহরের চৌমুহনায় জাম বিক্রি করতে দেখা যায়। তার কাছে দাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন দাম কিছুটা বাড়তি। ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত প্রতি কেজি বিক্রি করছি। কেউ বেশি নিলে কিছুটা কমে বিক্রি করে দেই। দাম বেশির কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই গরমে জাম গাছে ওঠানোর মতো কামলা পাচ্ছি না। পেলেও দিগুণ কামলা খরচ গুণতে হচ্ছে। তিনি বলেন আমি প্রতি বছরই ফলের মৌসুমে আম ও জাম বিক্রি করে সংসার চালাই।

মুসলিমবাগ এলাকার মোঃ আরিফ মিয়া নামের এক চা পাতা ব্যবসায়ি দীর্ঘদিন ধরে হবিগঞ্জ রোডে নিজের দোকানের চা পাতা-সহ অন্য ফল ফ্রুট এর ব্যবসা করে আসছেন। ফলের মৌসুমে এবারও বাড়তি যোগ করেছেন আম।

বিকেলে দেখা যায় সাংবাদিক মোঃ জালাল উদ্দিন কে আম কিনতে। কথা হয় তার সাথে। তিনি বলেন ল্যাঙড়া আম ৬৫ টাকা কেজি দরে দুই কেজি কিনেছি। আমের গন্ধ ও রং দেখে মনে হয়েছে ফরামলিনমুক্ত। বাসায় নিয়ে দেখি, যদি ভালো হয় তাহলে আরো কিনবো।

ইন্দুরখান রোডের রামনগরের কাঠাল বিক্রি করছেন মোঃ খলিল মিয়া তার সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, এবার প্রচন্ড গরমে কাঠালের ক্রেতা কম। বৃষ্টি হলে তুলনামূলক বেশি কাঠাল বিক্রি করতে পারতাম। মূল্য জানতে চাইলে তিনি বলেন কাঠালের সাইজ অনুযায়ী দাম। কোনোটা ৩০ টাকা, কোনোটা ৫০ আবার কোনোটা ১০০-২৫০ পর্যন্তও রয়েছে। ছোট, মাঝারি এবং বড়। ক্রেতাদের কাছ থেকে এসব দাম নিচ্ছি ফলের সাইজ অনুযায়ী।


-জ/অ


« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. আক্তার হোসেন রিন্টু
বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ : প্রকাশক কর্তৃক ৮২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক (৩য় তলা) ওয়্যারলেস মোড়, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
বার্তা বিভাগ : +8802-58316172. বাণিজ্যিক বিভাগ : +8801868-173008, E-mail: dailyjobabdihi@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক জবাবদিহি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft