ফের বেড়েছে শেরপুর জেলার তাপমাত্রা। তীব্র তাপ প্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে শেরপুরের জনপদ শেরপুর সদও, নকলা ও গারো পাহাড়ের ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী নালিতাবাড়ী।
জেলায় তাপমাত্রা এখন ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসতো হবেই। গত ক’দিন ধরেই বইছে তাপ প্রবাহ। এরই মধ্যে বাতাসের আদ্রতাও বেড়েছে স্বাভাবিক ভাবেই। প্রখর খাঁ খাঁ রোদ্রে রাস্তাঘাট-হাট-বাজারে দৃশ্যমান লোক সমাগমও কমে গেছে।
চলমান তাপ প্রবাহে বেড়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। ’এ যেন মরার ওপর খারার ঘা।’ ঘন ঘন লোডশেডিং জনজীবনকে দুর্বিষহ্য করে তুলেছে। তাপ প্রবাহ ও লোডশেডিংয়ে নাকাল মানুষের ঘরে-বাইরে সর্বত্রই অস্বস্তি শেরপুর জেলায় আবহাওয়া অফিস না থাকায় তাপমাত্রার সঠিক তথ্য না জানা গেলেও ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হবে না বলে মন্তব্য করছেন অভিঙ্গঁমহল।
তাপ মাত্রার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের আপেক্ষিক আদ্রতাও বেড়েছে নিঃসন্দেহে। ৪০ ডিগ্রিতে তীব্র তাপ অনুভূত হচ্ছে। এর আগে গত মাসেও শেরপুরের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে তীব্র ও অতি তাপ প্রবাহ।
সেই সাথে যেনো পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোডশেডিং। দিনে এবং রাতে কতবার দে’য়া হচ্ছে লোডশেডিং তাও বলতে নারাজ বিদ্যুৎ বিভাগ। তারা বলছেন শুধু অর্ধেক ঘাটতির কথা।
সে কারণেই ভাগাভাগি করে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও লোডষেডিং দেয়া হচ্ছে। তবে চরম ঝুঁকির মধ্যে রেশনিং করে লোডশেডিং দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।
মোট কথা শেরপুর অঞ্চলে তীব্র তাপ প্রবাহেও বিদ্যুতের লোডশেডিং চলছে বর্ণনাতীত ভাবে। এতে পুড়ছে শেরপুর। ঘরে-বাইরে মানুষ ও পশু- পাখির অস্বস্তি।
যোগ হয়েছে লোডশেডিং। অসহায় মানুষ হয়ে পড়েছে দিশেহারা! তাতেও লোডশেডিং কবে নাগাদ কমবে তার নেই কোন নিশ্চয়তা বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও ) মো: ফারুক আল মাসুদ দৈনিক জবাবদিহিকে বলেন, এই প্রচন্ড গরমে মানুষের হাসফাস অবস্থা। নেই বিদ্যুৎ। অসহনিয় অবস্থা; এর নিরসণ প্রয়োজন।’