বুধবার ৭ জুন ২০২৩ ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
 

‘এ মাসের মধ্যেই বিদ্যুত সমস্যার সমাধান’    জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে রাজি আ.লীগ    প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও আইনমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বৈঠক    ৪৫তম বিসিএস: প্রিলির ফল প্রকাশ     ক্ষমতা অপব্যবহারের জন্য না, ক্ষমতা মানুষের সেবার জন্য: হাইকোর্ট    করোনায় মৃত্যু ১, শনাক্ত ১৯৭    ডিজিটাল আইনের মামলা: ইভ্যালির রাসেলের হাইকোর্টে জামিন   
৩ শতাধিক শিশু অপহরণ চক্রের তিন সদস্য আটক
প্রকাশ: শনিবার, ৬ মে, ২০২৩, ৫:৫৭ অপরাহ্ন

প্রায় তিন শতাধিক শিশু অপহরণ-মুক্তিপণ আদায় চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। গত ৬-৭ বছরে ওই চক্রটি ৩ শতাধিক শিশুকে অপহরণ করেছে। 

শনিবার (৬ মে)  শিশু অপহরণ সিন্ডিকেটের ওই ৩ সদস্যকে আটক করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরা বিভাগের কর্মকর্তারা।

আটককৃতরা হলো-মূল পরিকল্পনাকারী মিল্টন মাসুদ (৪৫) ও তার সহযোগী সাহিনুর রহমান (৩৮) ও সুফিয়া বেগম (৪৮)।

পুলিশ জানিয়েছে, ২৪ মার্চ উত্তরা পূর্ব থানায় নিখোঁজ হওয়া ৬ বছরের শিশুর বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করার পর তারা সিন্ডিকেটটির খোঁজ পেয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩ জনকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতদের কাছ থেকে অপহরণের কাজে ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন ও ৫টি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।

আট থেকে ১৬ বছর বয়সের ছেলে-মেয়েদের খোঁজে তারা স্কুল, মার্কেট, কোচিং সেন্টার ও মাদ্রাসার সামনে অপেক্ষা করতো। কোনো শিশুকে একা পেলে ওই চক্রের সদস্যরা নিজেদের শিশুটির বাবা-মায়ের আত্মীয় বা বন্ধু হিসেবে পরিচয় দিয়ে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করতো। কথাবার্তার মাধ্যমে ওই চক্রের সদস্যরাও কৌশলে শিশুর পারিবারিক অবস্থা এবং যোগাযোগের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতো।

এরপর তারা সেই শিশুটিকে ফল কিনে দেয়া বা তার বাবা-মার কাছ থেকে নেয়া ধারের টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে দূরে কোথাও ডেকে দিয়ে যেত। 

শিশুটি তাদের কথায় বিশ্বাস করে ওই চক্রের সদস্যদের সঙ্গে গেলে তারা অভিভাবকদের কাছে ফোন করে বলতো, 'আপনার সন্তান আমাদের হেফাজতে আছে, টাকা দেন, না হলে আমরা তাকে আটকে রাখবো।'

ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার মোরশেদ আলম বলেন, ওই চক্র শুধু সেই শিশুদের টার্গেট করতো যারা তাদের পিতামাতার মোবাইল নম্বর মুখস্থ রেখেছে।অপহরণকারীরা অপহরণের পর শিশুটিকে মারধর বা নির্যাতন করেনি। তারা তাদের খাওয়াত, বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করতো এবং এরপর মুক্তিপণ পাওয়া পর শিশুটিকে ছেড়ে দিত।

আটক আসামিদের বরাতে ওই কর্মকর্তা বলেন, 'ওই চক্রের সদস্যরা মুক্তিপণ হিসেবে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাবি করতো। অভিযুক্তরা কখনো কখনো শিশুর পরিবারের আর্থিক অস্বচ্ছলতার ভিত্তিতে ৫০০ টাকা নিয়েও ছেড়ে দিয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা স্বীকার করেছে যে তারা মোবাইল ফাইন্যান্সিং সার্ভিসের মাধ্যমে মুক্তিপণের টাকা আদায় করতো। চক্রের একজন সদস্য শিশুর দেখাশোনা করতেন এবং বাকিরা মুক্তিপণ আদায় করতেন।

মাদক ব্যবসায়ী মাসুদ প্রধানত এই চক্রের মূল পরিকল্পনাকারী, অন্যদিকে  একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের তথাকথিত সাংবাদিক সাহিনুর মোবাইল ফাইনান্সিং থেকে মুক্তিপণের টাকা সংগ্রহ করতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। মিল্টনের বিরুদ্ধে ৫টি এবং শাহিনুরের বিরুদ্ধে ঢাকা ও গাজীপুরের বিভিন্ন থানায় ৩টি মামলা রয়েছে।

 জ/আ

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: আক্তার হোসেন রিন্টু
বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ : প্রকাশক কর্তৃক ৮২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক (৩য় তলা) ওয়্যারলেস মোড়, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
বার্তা বিভাগ : +8802-58316172, বাণিজ্যিক বিভাগ : +8802-58316175,+8801711443328, E-mail: jobabdihionline@gmail.com, dailyjobabdihi@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক জবাবদিহি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft